বাকিবুরের আরও সম্পত্তির হদিশ! কার প্ররোচনায় এত বাড়বাড়ন্ত? চার্জশিটে বি.স্ফোরক ইডি

0
3

কলকাতা (Kolkata) এবং দুবাইয়ে (Dubai) তাঁর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার রাজ্যের বেশকিছু জেলাতেও তল্লাশি চালিয়ে ১০১টি সম্পত্তির হদিশ মিলল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahman)। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে তেমন খবরই জানা যাচ্ছে। বাকিবুরের ওই ১০১টি সম্পত্তির মূল্য ৯ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও কলকাতায় বাকিবুরের কোটি কোটি টাকার বাড়ি, আবাসন, রেস্তরাঁ, বারের হদিশ পেয়েছে ইডি। এমনকি দুবাইয়েও বাকিবুরের সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডির তদন্তে। তবে মূলত উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 pgs) এবং নদিয়া (Nadia) জেলাতেই এই সম্পত্তির সিংহভাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা, বারাসত এবং বাদুরিয়ায় বাকিবুরের সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। নদিয়ার বিভিন্ন গ্রামেও বাকিবুর এবং তাঁর আত্মীয় স্বজনের নামে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে এত সম্পত্তির বাড়বাড়ন্তের পিছনে রেশন বন্টন মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) হাত রয়েছে বলেই ধারণা ইডি আধিকারিকদের।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রেশন বন্টন মামলায় গ্রেফতার বাকিবুর রহমান এবং মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ঘুরেই সরকারি ৪৫০ কোটি টাকা গিয়েছে বাকিবুরের কাছে। বাকিবুরের সংস্থার অডিটরকেই উদ্ধৃত করে ইডি জানিয়েছিল, বাকিবুর তাঁর সংস্থার ৫০ কর্মীর নামে ভুয়ো কৃষক হিসেবে অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে ধান কেনার নামে ৪৫০.৩১ কোটি টাকার ফান্ড রিলিজ করা হয়। তবে এত টাকা নিয়ে কী করেছিলেন বাকিবুর। সময় যত গড়াচ্ছে সেই প্রশ্নের উত্তর সামনে আসছে।

ইডির দাবি, তাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হত। যাদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তাঁদের বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দিতেন বালু। সেই সঙ্গে দেওয়া হত সরকারি দপ্তরে চাকরি। এর প্রমাণও নাকি পেয়েছে ইডি, এমনটাই দাবি। চাকরি পেয়েছিলেন বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাস। এদিকে বাকিবুর ও তাঁর পরিবারের নামে ১০০ টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে বলে দাবি ইডির। বুধবার ফের আদালতে তোলা হবে বাকিবুরকে।