শুক্রবার সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত গোটা দেশের রাজনীতি। সংসদে একযোগে ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব বিরোধী দলগুলিও। এই ঘটনাকে “গণতন্ত্রের বাইপাস সার্জারি” বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কার্শিয়াংয়ে থাকলেও সাংসদের বহিষ্কারের ঘটনার পরই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সরব হয়েছেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রী (CM)সরব হতেই পথ নির্ধারণ করে নিয়েছে নদিয়া তৃণমূল জেলা কমিটি। শনিবার থেকেই একাধিক কর্মসূচি নিয়ে নিন্দায় সরব হয়ে মাঠে নামছেন তাঁরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ কৃষ্ণনগর ছাত্র যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি মিছিল করে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে বিজেপি সরকারের তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি বিক্ষোভ সংঘটিত হয়।

নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর আগে নদিয়ারই করিমপুরের তৃণমূলেরই বিধায়ক ছিলেন তিনি। সংসদে ‘ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন’ ইস্যুতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাঁকে, দাবি বিরোধীদের। কার্যত তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কারের ঘটনা এক ছাতার তলায় এনে দাঁড় করিয়েছে লোকসভার সমস্ত বিরোধী দলকে। স্বভাবতই লোকসভা ভোটের আগে এর বড় প্রভাব পড়তে চলেছে কৃষ্ণনগর লোকসভা তথা গোটা নদিয়া জেলায়। জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে স্বেচ্ছাচারী ও অন্যায় বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার নদিয়ার বিভিন্ন ব্লকে পাঁচটি প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিকেল ৩.৩০ মিনিটে পাঁচটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পাঁচ জায়গায় উপস্থিত থাকবেন জেলাস্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে তেহট্ট ১ ব্লকের তেহট্ট বাজারে, তেহট্ট ২ বাজারের পলাশিপাড়া বাজারে, ভীমপুরের ভীমপুর বাজারে, নাকাশিপাড়ার বেথুয়া বাজারে এবং চাপড়া ব্লকের চাপড়া বাজারে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে লোকসভা ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করার কাজও সেরে রাখছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।





































































































































