বাংলার দাবি আদায়ে ১৮-১৯-২০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনও একদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narenda Modi) সাক্ষাতের সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার, বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জিএসটি বাবদ বাংলা থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। অথচ মোদি সরকার ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রামীণ রাস্তা এমনকী স্বাস্থ্য প্রকল্পের প্রাপ্যও দিচ্ছে না বাংলাকে। এই বিষয়েই কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী সময় চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সময় দিলে ভালো। না হলেও বাংলার দাবি আদায়ে ওই সময় দিল্লি যাবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন মমতা (Mamata Banerjee)।
১৭ ডিসেম্বর I.N.D.I.A. জোটের বৈঠক রয়েছে। আমন্ত্রিত তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটের বৈঠকের পরেই ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনও একদিন প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘একমাত্র বাংলার সব প্রাপ্য টাকাই বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু কোনও স্কিম বন্ধ করিনি। সেই স্কিমগুলোর টাকা যাতে আমরা পাই, তার জন্য আমি ১৮, ১৯, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ডেট চেয়েছি। যদি ডেট দেয় তো ভাল। না হলে আমি ১৭ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছি।’’
বাংলার বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব মমতা বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের বকেয়ার টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আমাদের টাকা আটকে রয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আমাদের শেয়ার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যে ভাগের টাকা পাই, সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে টাকা পাওয়ার কথা সেটা দেওয়া হচ্ছে না। এটা আমাদের প্রাপ্য টাকা।’’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন ‘‘সব রাজ্য যদি ওই টাকা পায়, তবে আমাদের রাজ্য কেন পাবে না? এই জন্যই আমরা সময় চেয়েছি। যদি সময় দেন তো ভাল। না হলে আমরা তো অবশ্যই যাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: সংঘাত চরমে, তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে পর্যবেক্ষক দল বিজেপির
এর আগে অক্টোবর মাসে বাংলার দাবিতে আদায় দিল্লি গিয়ে তীব্র আন্দোলন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি সময় দেননি। এরপর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি সময় দিয়েও দেখা না করে পালিয়ে যান। তৃণমূলের অবস্থানে হাজির হয়ে অভিষেক, বিরবাহা হাঁসদা, মহুয়া মৈত্রদের টেনে হিঁচড়ে বার করা হয়। গত মাসে মেগা বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, দাবি আদায়ে তিনি দিল্লি যাবেন। এদিন দিন ঘোষণা করেন মমতা।