“আপনারা শুধু পাহাড়কে শান্ত রাখুন উন্নয়নের দায়িত্ব আমি কাঁধে তুলে নিচ্ছি। কাজের জন্য আপনাদের বাইরে যেতে হবে না, গোটা পৃথিবী আপনাদের কাছে আসবে।” শুক্রবার কার্শিয়াঙের সভা থেকে এভাবেই পাহাড়বাসীকে আশ্বস্ত করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নাম না করে অতীতে পাহাড়ে অশান্তির জন্য বিজেপিকে নিশানায় নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মাঝে মাঝেই নানান উস্কানিতে রীতিমতো অশান্ত হয়ে ওঠে শৈলশহর দার্জিলিং। অতীতের সেই ঘটনা স্মরণ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কিছু লোক পাঁচ বছর অন্তর একবার করে জেগে ওঠে, পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করে। অশান্তি হলে শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করবে কেন? তাই আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, পাহাড়কে শান্ত রাখার দায়িত্ব আপনারা নিন, উন্নয়নের দায়িত্ব আমার।” নাম না করে সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে এদিন মমতা বলেন, “ভোটের সময় অনেকে আসে, অনেক লোভ দেখিয়ে যায়। অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কিচ্ছু করে না। আমাদের রক্তে রয়েছে, প্রতিজ্ঞা কীভাবে রক্ষা করতে হয়, আমরা সেটা জানি।”
এর পাশাপাশি এদিন পাহাড়ের জন্য একগুচ্ছ উপহার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা হল…
আগামী দুই দিনে ৩৩ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
তিস্তা বিপর্যয়ে ৫৫০ জনকে ৭০ হাজার আর্থিক সাহায্য
কার্শিয়াঙে ১ হাজার ২০০ জনকে পাট্টা বিলি।
পাহাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব।
দার্জিলিং কালিম্পঙে হবে IT সেক্টর।
জিটিএ-কে ৭৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
জিটিএ কর্মীরা অবসরের পর গ্র্যাচুইটি বাবদ ২০ লাখ টাকা পাবেন।
জিটিএর রেগুলার এমপ্লয়ি ২০১৯ সালের পে রুল মোতাবেক বেতন সংশোধন।
২০০৩ সাল থেকে রিজিওনাল স্কুল সার্ভিস কমিশন ফর হিলস চালু হবে।
সেকেন্ডারি স্কুলে ৫৯০ শূন্যপদে নিয়োগ।
দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা স্কুল বোর্ডের জন্য অ্যাডহক কমিটি তৈরি করা হবে।
জেলা বোর্ডে ১০০০ পদে নিয়োগ।
চা সুন্দরী প্রকল্পে ৩ লাখ শ্রমিককে পাকা বাড়ি বা পাট্টা দেওয়া হবে।
২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ে ৩ লাখ ৩২ হাজার বাড়িতে নলবাহিত জল।







































































































































