আজ কী ঘটেছিল?

0
1

প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল এদিন। ২৬ জুলাই বিধবা বিবাহ আইন বা দ্য হিন্দু উইডো’স রিম্যারেজ অ্যাক্ট পাশ হয়| বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় তৎকালীন বড়লাট লর্ড ডালহৌসি আইন প্রণয়ন করে বিধবা বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেন| তারপর এদিন কলকাতায় রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২ নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়িতে বিদ্যাসাগর, রমাপ্রসাদ রায়, নীলকমল মুখোপাধ্যায়, কালীপ্রসন্ন সিংহ, প্যারীচাঁদ মিত্র, রামগোপাল ঘোষ প্রমুখ ব্যক্তির উপস্থিতিতে বর্ধমানের বাল-বিধবা ১০ বছর বয়সি কালীমতিকে শ্রীশচন্দ্র বিবাহ করেন। ব্রহ্মাণ্ড মুখোপাধ্যায় ও লক্ষ্মণীদেবীর একমাত্র কন্যা কালীমতির প্রথম বিয়ে হয় ৪ বছর বয়সে। ৬ বছর বয়সে স্বামী মারা গেলে সমাজ একঘরে করে বিধবা কালীমতিকে। অন্যদিকে, শ্রীশচন্দ্র ছিলেন সংস্কৃত কলেজের একজন উচ্চপদাধিকারী। রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে এই বিবাহ পণ্ড করার চেষ্টা হলেও পুলিশ প্রহরা থাকায় কোন গন্ডগোল ঘটেনি। এই বিবাহের অধিকাংশ ব্যয়ভার বিদ্যাসাগর বহন করেছিলেন| বাংলা তথা ভারতবর্ষের এই প্রথম আইনসম্মত বিধবাবিবাহটি সম্পন্ন হয় হিন্দু বিবাহের সম্পূর্ণ রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান মেনেই| সেদিনকার ১২ নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়িটির বর্তমান ঠিকানা ৪৮ নং কৈলাস বসু স্ট্রিট। সঙ্গের ছবিটি সেই বাড়িরই।

১৮৭২ সালে দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ অভিনয় দিয়ে এদিন সূচনা হয়েছিল তথাকথিত বাংলা পেশাদারি থিয়েটারের। নাম ছিল ‘ন্যাশনাল থিয়েটার’। প্রথম পেশাদারি থিয়েটার হলেও নিজস্ব রঙ্গমঞ্চ ছিল না ওই দলের। মধুসূদন সান্যালের ৩৬৫ আপার চিৎপুর রোডের বাড়ির একতলা ভাড়া নিয়ে খোলা হয়েছিল ওই থিয়েটার। নবগোপাল মিত্র সম্পাদিত National Paper-এ (১৮৭২ সালের ১১ ডিসেম্বর) এই নাট্যশালা স্থাপন সম্পর্কে বলা হয়েছিল : ‘The National Theatre is first public undertaking of its character… The doors of the National Theatre are open to the public, Whoever shall pay for admission to it, will be permitted to go in it.’ প্রথম পর্যায়ে নাট্যশালাটি স্থায়ী না হলেও পরবর্তীকালে এদেরই প্রেরণায় একাধিক স্থায়ী নাট্যশালা গড়ে উঠেছে।

যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘাযতীনের (১৮৭০-১৯১৫) জন্মদিবস। কুষ্টিয়ায় একবার ছোরা হাতে একটি বাঘ মারেন বলে যতীন্দ্রনাথ ‘বাঘাযতীন’ নামে পরিচিত হন। অরবিন্দ ঘোষের সংস্পর্শে এসে বিপ্লবী আন্দোলনে যোগদান করেন। সর্বভারতীয় বিপ্লবী দলগুলি জাপান ও জার্মানি থেকে অস্ত্র আমদানি করে সশস্ত্র বিপ্লবের পরিকল্পনা করলে বাঘাযতীন বালেশ্বর যান জার্মান জাহাজ ‘মেভারিক’ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। সেখানে বুড়িবালামের তীরে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখসমরে নিহত হন এই বীরবিপ্লবী।

১৯৪১ সালে জাপান এদিন পার্ল হারবার আক্রমণ করে। পার্ল হারবার হনুলুলু, হাওয়াইয়ের কাছাকাছি অবস্থিত একটি মার্কিন নৌঘাঁটি। দিনটা ছিল রবিবার। সকাল আটটা নাগাদ কয়েকশো জাপানি যুদ্ধবিমান ওই ঘাঁটিতে নামে। সেখানে তারা আটটি যুদ্ধজাহাজ এবং ৩০০টিরও বেশি বিমান সমেত প্রায় ২০টি আমেরিকান নৌযান ধ্বংস বা ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছিল। বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ-সহ এই হামলায় ২৪০০-রও বেশি আমেরিকান মারা গিয়েছিলেন এবং আরও হাজারখানেক মানুষ আহত হয়েছিলেন। এই হামলার পরদিন, রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট কংগ্রেসকে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে বলেন। ফলে প্রাচ্যের ভূখণ্ডেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

১৭৮২ দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ চলাকালীন হায়দার আলির হঠাৎ মৃত্যু হলে মহীশূরের শাসন ক্ষমতায় টিপু সুলতান অধিষ্ঠিত হন। বাবা হায়দারের মতো টিপুও ছিলেন ইংরেজ-বিদ্বেষী। ‘মহীশূরের বাঘ’ নামে খ্যাত টিপু অষ্টাদশ শতকের শেষার্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন।