জাতীয় সঙ্গীত অ.বমাননা মামলায় অন্তর্বর্তী স্থ.গিতাদেশ হাই কোর্টের

0
1

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে এই স্থগিতাদেশ।এদিন ওই মামলার শুনানিতে এদিন বিধানসভার ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।তিনি বলেন, ‘যে ক্যামেরার ফুটেজ, সেখানে শুধু শাসক দলের ফুটেজ দেখা যাচ্ছে। আর কারও জমায়েত দেখা যাচ্ছে না। তা হলে অন্য জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পাবেন কী করে?’ রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ওটা অন্য ক্যামেরায় আছে।’ এর পর বিচারপতি বলেন, অভিযোগের সপক্ষে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ দেখা যাচ্ছে না।

রাজ্যের শাসক দলের তরফে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার  অভিযোগ আনা হয়। এদিন বিচারপতি সেনগুপ্ত ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রশ্ন করেন, ‘দু’পক্ষই স্লোগান দিচ্ছিল। সেসময় তারা কী করবে? ‘কোথায় জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছিল খেয়াল রাখবে?’ হাই কোর্টের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, খুন -ধর্ষণের থেকে এই মামলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ! আগামী ১০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

 প্রসঙ্গত,তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার তাঁদের বিধায়করা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন পাল্টা স্লোগান দিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছে বিজেপি। বিধানসভার তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। যার প্রেক্ষিতে পরপর দু’দিনে দায়ের হয় দুটি এফআইআর। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার সঙ্গে, জাতীয় সম্মানের প্রতি অবমাননা প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু হয়। প্রথম এফআইআর-এর ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে তদন্তভার যায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখায়।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সম্পূর্ণ ভ্রান্তধারনা পোষণ করছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্ত্র হিসাবে কখনও জাতীয় সঙ্গীতকে ব্যবহার করেন না। যে কোনও সভা, অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শেষ করা হয়।ইতিহাস-ভূগোল না জেনে মহামান্য বিচারপতি একটা মন্তব্য করবেন, আর সেটা হজম করতে হবে সেটা বোধ হয় ঠিক হচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত কর্মসূচিতে সবসময় জাতীয় সঙ্গীত থাকে।রাজনৈতিক কর্মী থেকে দলীয় কর্মীরা এটা সবাই জানেন।বিধানসভায় ঘোষিত ধরনা কর্মসূচি শেষ হচ্ছে জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে, এতে দোষটা কোথায় আছে?জাতীয় সঙ্গীতকে যারা অবমাননা করেছেন, বিভিন্ন কথার জাগলারি দিয়ে তাদের মদত দিচ্ছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।