এখনও মধ্যযুগীয় অভিশাপ। শিক্ষার আলোর মধ্যে পণ(Dowry)প্রথার অন্ধকার। আত্মহননের পথ বেছে নিলেন ডাক্তারির স্নাতকোত্তরের ছাত্রী! কেরালার ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। সাহানা। অভিযোগ, প্রেমিক বিপুল পণের চাহিদা ও তা দিতে না পারায় বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ২৬ বছরের তিরুবনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজের (Thiruvananthapuram Medical College) স্নাতকোত্তরের ছাত্রী (Student) সাহানা। অভিযুক্ত প্রেমিক ই এ রুওয়াইসকে গ্রেফতার করেছে কেরালা পুলিশ। তিনি নাকি বাম সংগঠনের নেতা।
দেশের শিক্ষিতের হারে সবার উপরে নাকি কেরালা! আর সেখানেই এই মর্মান্তিক পরিণতি ডাক্তারি পড়ুয়ার (Student)। তিরুবনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছিলেন সাহানা। সেখানেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সহপাঠী তথা কেরালা মেডিক্যাল পিজি সংগঠনের সভাপতি রুওয়াইসের সঙ্গে। মধ্য প্রাচ্যে কাজ করতেন সুহানার বাবা। বছর দুয়ের আগে মারা যান তিনি। বিয়ের সিদ্ধান্তের দিকে এগোয় সাহানা-রুওয়াইস। কিন্তু এরপরেই বেরিয়ে পরে বাম নেতার সামন্ততান্ত্রিক মানোভাব। রুওয়াইসের পরিবারের পক্ষ থেকে বিপুল পণ দাবি করা হয়। পরিমাণ শুনলে রীতিমত আঁতকে উঠতে হয়- ১৫০ কেজি সোনা, ১৫ একর জমি এবং বিএমডব্লিউ গাড়ি! দুই বোন ও মাকে নিয়ে সংসার চালানো সাহানার পরিবারের কাছে যা ছিল একটা অসম্ভব।
‘পাত্রীপক্ষ’ পণ দিতে না পারায় যেন তথাকথিত প্রেম ভুলে বিয়ে ভেঙেই দেন রুওয়াইস! সোমবার রাতে সাহানার নাইট ডিউটি (Night duty) ছিল। কাজে না যোগ দেওয়ায় তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা যায় ফ্ল্যাট ভিতর থেকে বন্ধ। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢুকে তরুণীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, নিজের শরীরে কড়া ডোজের অ্যানাস্থাসিয়া (anaesthesia) ইনজেক্ট (inject) করেন সাহানা। পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। তাতে লেখা “সবাই শুধু টাকা চায়”।
সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে রুওয়াইসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পরিবারের পক্ষ থেকেও রুওয়াইসের পরিবারের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Health Minister) বীণা জর্জ (Veena George) ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মহিলা ও শিশু দফতরকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।