বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে ফের ভয়াবহ গুলির লড়াই। আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ২ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩ জনের। জখম হয়েছেন আরও ৫ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের পাওড়াও করতে শুরু হয়েছে অভিযান।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ উখিয়া ১৭ নম্বর মধুরছড়া এবং জামতলি ১৫ নম্বর ক্যাম্পে এই গুলিযুদ্ধ ঘটে। যেখানে প্রাণ হারান তিনজন। জখম হয়েছেন আরও পাঁচজন। অভিযোগ, প্রায়দিনই এই এলাকায় সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এই দুষ্কৃতীরা শরণার্থী শিবিরের তরুণীদের দেহব্যবসার পাশাপাশি বিদেশে পাচার করে। আছে মাদক কারবারও। আধিপত্য বিস্তার, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে পৃথক গুলিযুদ্ধ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আশ্রয় শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মহম্মদ আমির জাফর।
শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা সইফুদ্দিন বলেন, “গতকাল রাতে ১২ জন আরসার সদস্য ১৭ নম্বর আশ্রয়শিবিরের সি-৭৭ ব্লক এলাকা থেকে আবুল কাশেমকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুটা দূরে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আশ্রয়শিবিরের সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, মায়ানমারে সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে (Bangladesh) পালিয়ে এসেছে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এই সুযোগে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীও। কক্সবাজার জেলায় আশ্রিত এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত খুন-খারাপি চালিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে মায়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে।