এবার কী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে পাওয়া যাবে চিকিৎসা? প্রশ্ন AIIMS-কে ঘিরে

0
1

হার্টের ২০ শতাংশ সচল এক বাবা। এক অসহায় ছেলে। ২৫টি সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) পোস্ট। আর তারপরই রীতিমত ধুন্ধুমার দিল্লি AIIMS-এ। দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসাকেন্দ্রের দুর্দশা চোখে আঙুল দিয়ে একবার নয়, একটানা ২৫ বার দেখানোর পর হুঁশ ফিরল কর্তৃপক্ষের। অবশেষে মিলল চিকিৎসা। মন্ত্রী হলে কেন্দ্রীয় হাসপাতাল যে চিকিৎসা পিছন পিছন দৌড়েই হয়তো দিত, সেই চিকিৎসা পেতে কীভাবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর হয়ে গেল তারই ছবি তুলে ধরেছেন উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার (Deoria) বাসিন্দা পল্লব সিং। আর এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভাইরাল হতেই নড়ে বসে AIIMS কর্তৃপক্ষ। দ্রুত অসুস্থ অনিল কুমার সিংয়কে পৌঁছে দেওয়া হয় টেকনিকাল সাপোর্ট।

গোটা দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার ঢাক বাজিয়ে প্রচার চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। সেই পরিস্থিতিতে দিল্লি AIIMS-এ চিকিৎসা পেতে একজন সাধারণ মানুষকে কতটা জুতোর শুকতলা খোয়াতে হচ্ছে সেটা উত্তরপ্রদেশের পল্লব সিংয়ের ২৫টি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে ভীষণ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে ২৪ ঘণ্টার লাইন! অবাক লাগলেও বারবার এই অভিজ্ঞতার সামনেই পড়তে হয়েছে পল্লবের পরিবারকে। ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেলেও ডাক্তারের দেখা মিলবে কি না সেটা নির্ভর করছে ডাক্তারের মর্জির ওপর। ডাক্তার দেখার পর দিয়েছেন লম্বা টেস্ট। টেস্ট করাতে কয়েক ডজন কাউন্টারে ম্যারাথন দৌড়। সেই টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে ডাক্তারের দেখা পেতে সেই একইভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আর ডাক্তাররে দেখা পাওয়ার হয়রানি। কিন্তু এখানেই শেষ না! হার্টের ২০ শতাংশ সচল থাকা অনিলবাবুর পরবর্তী চিকিৎসা কী? উত্তর দেওয়ার জন্য AIIMS-এর কোনও ডাক্তার কী আদৌ আছেন? এই উত্তর পেতেই শেষ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ অসহায় মধ্যবিত্ত পল্লব।

তবে এই পোস্টের পর রীতিমত সাড়া পড়েছে গোটা দেশে। অভিনেতা তথা সমাজসেবী সোনু সুদ (Sonu Sood) সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। মুম্বাইয়ের এক ডাক্তারও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ – বারবার হাজার হাজার মধ্যবিত্তের পিছনে AIIMS-এর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পল্লবকে এতদিন চোখে না পড়লেও তার পোস্টটি দেখার অবসর পেয়েছেন তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পরে জানানো হয়েছে। সুনীলবাবুর আপাতত অস্ত্রপোচারের প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই তাঁর যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এরপরই নেটিজেনদের প্রশ্ন – তাহলে কী এটাই প্রথা? AIIMS-এ চিকিৎসা পেতে রোগীর আত্মীয়দের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলে পোস্ট করলে তবেই চিকিৎসা পাওয়া যাবে, নাহলে ৩ থেকে ৬ মাসের অপেক্ষা?