সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসএসকেএম-কে চিঠি দিল ইডি। হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে যে ইডি নিয়ে যেতে চাইছে, প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসএসকেএম-এর কাছে যা নথি চাওয়া হয়েছিল, তাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্থানান্তরের জন্য নথি সংক্রান্ত প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ।আসলে জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় ইডি। সেক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না।
নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। তারপরই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়। তারপর ফের বুকে ব্যথা হওয়ায়, এরপর থেকে দীর্ঘদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু এই মামলায় এখন সুজয়কৃষ্ণর কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় ইডি। কারণ তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ইডি-র দাবি, রাহুল বেরা নামে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সিভিক ভলান্টিয়রকে মোবাইল থেকে তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। মোবাইলে পাওয়া সেই কন্ঠস্বরের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণর কন্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চায় ইডি।
ইডি চায় রাজ্য নয়, কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালেই সুজয়কৃষ্ণর কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে। এর আগে একাধিকবার সুজয় ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েও এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে ইডির তদন্তকারী অফিসারদের। এই পরিস্থিতিতে ইডির তরফে আবেদন জানানো হয় আদালতে। কিন্তু আদালতের হস্তক্ষেপে একটি নির্দিষ্ট রূপরেখা ঠিক করতে তৈরি করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, ইএনটি’র চিকিৎসককে নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়।