গভীর নিম্নচাপে পরিণত ‘মিগজাউম’! ল.ণ্ডভণ্ড চেন্নাই, লাফিয়ে বাড়ছে মৃ.তের সংখ্যা

0
2

দুদিনের ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) তছনছ চেন্নাই (Chennai)। রাস্তাঘাট ভেসে গেছে, উপড়ে পড়েছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিপর্যয় নেমেছে। বহু এলাকায় কারেন্ট নেই বলে খবর। ঝড়বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭। তবে শক্তি কমলেও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) দাপটে বুধবারও দেশের কিছু অংশে দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তি খুইয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। আপাতত সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মধ্য উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান করছে। আগামী ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি কমার পর এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় কেবল সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসাবেই অবস্থান করবে মিগজাউম।

পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের বাপাতলা ১০০ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এবং খাম্মামের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া মিগজাউম। এদিকে বুধবার ভারী বৃষ্টি জারি রয়েছে দক্ষিণ ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকা, দক্ষিণ উপকূলবর্তী এবং দক্ষিণ ওড়িশাতেও। মঙ্গলবারই ওড়িশা প্রশাসনের তরফে দক্ষিণের জেলাগুলিকে ভারী বর্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বাপাতলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মিগজাউম। শেষ ছ’ঘণ্টায় সমুদ্রের উপর এর গতিবেগ ছিল ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে আছড়ে পড়ার সময় মিগজাউমের গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। মিগজাউমের প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। তবে সোমবারের পর বৃষ্টি খানিক কমলেও জলমগ্ন শহরের বহু এলাকা।

এদিকে এনএলসি ইন্ডিয়া লিমিটেডের পক্ষ থেকে জল নামাতে ১৬টি বড় মাপের পাম্প পাঠানো হয়েছে চেন্নাইয়ে। পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকাগুলি মানুষদের উদ্ধার করতে চেন্নাইয়ের রাস্তায় তাদের নৌকা নামিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। কোনও কোনও এলাকায় নৌবাহিনীর কর্মীদের খাবারের প্যাকেট, পানীয় জল বিতরণ করতেও দেখা গিয়েছে। তবে নৌসেনার পাশাপাশি উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে হাত লাগিয়েছে বায়ুসেনাও। দুটি হেলিকপ্টার মাধ্যমে ৫০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী এবং রেশন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য আরও অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা।