দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মিজোরামের কুর্সিতে বসতে চলেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী বাহিনীর প্রধান লালডুহোমা।
মিজোরামে ইতিহাস তৈরি করল জেডপিএম। এই প্রথম সেখানে সরকার গঠন করতে চলেছে তারা। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় ২৭ টি আসনে জিতছে জেডপিএম। সেখানে এবার মাত্র ১০টি আসনে জিতেছে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। হেরে গিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী ছাউইলুইয়া। এরই সঙ্গে সেখানে আসন আরও কমেছে কংগ্রেসের। কংগ্রেস জিতেছে ১টি আসনে।বিজেপি জিতেছে মাত্র ২টি আসনে।এতদিন মিজোরামের ক্ষমতা ছিল কংগ্রেস এবং এনএম এফের হাতে। ঘুরে ফিরে তারাই মিজোরামে শাসন করেছে। গত নির্বাচনে সেখানে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে জোরামথাঙ্গার দল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। এবারের নির্বাচনে আইজল পূর্ব- ১ আসনে হেরে গিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। সেই আসনে তাঁকে হারিয়ে জিতেছেন জেডপিএম দলের লালডুহোমা।দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আইজলের কুর্সিতে বসতে চলেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান লালডুহোমা। ৪০ আসনের মিজ়োরাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ২১। জেডপিএম জিতেছে ২৭টিতে।
আশির দশকে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন আইপিএস অফিসার লালডুহোমা। ১৯৮২ সালে অসম থেকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে সোজা ইন্দিরার নিরাপত্তা অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইন্দিরা জানতে পেরেছিলেন, ১৯৭৭ সালে আইপিএস হওয়ার আগে রাজ্য প্রশাসনিক সার্ভিসের অফিসার হিসাবে মিজোরামের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী সি ছুংগার সহায়ক ছিলেন তিনি। লালডুহোমার রাজনৈতিক জ্ঞান দেখে ইন্দিরাই ১৯৮৪ সালে ফের তাঁকে মিজোরামে পাঠান। পুলিশের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে লোকসভার সাংসদ হন লালডুহোমা। দায়িত্ব পান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরও।