দীর্ঘ এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে প্যালেস্টাইনের (Palestine) গাজা উপত্যকার (Gaza Strip) সব জায়গাতেই হামাসের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন’ (Operation) শুরু করেছে ইজরায়েল (Israel)। আকাশপথে হামলা তো চলছেই পাশাপাশি এবার ট্যাঙ্ক নিয়েও সেখানে হামলা চালাচ্ছে বাহিনী। ইতিমধ্যেই গাজা উপত্যকায় হামাসের একজন কমান্ডারকে খত্ম করা হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF)। এদিকে
সংগঠনটির প্রধানের দাবি, ইজরায়েলের সেনারা গাজায় হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করেছে। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের হামলার পিছনে জড়িত ছিলেন। এদিকে ইজরায়েলকে বারবার আমেরিকা (US) ও রাষ্ট্রসংঘের (UN) তরফে সাধারণ মানুষদের রক্ষার দাবি জানানো হলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে তাদের কথা অমান্য করেই দেদারে আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েল। আর সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি আরও খারাপের পথে।

এদিকে গত শুক্রবার ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর থেকে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে ইজরায়েল ঘনিষ্ঠ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এটা বলা অত্যন্ত কঠিন যে ইজরায়েল সাধারণ মানুষদের সুরক্ষার জন্য ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে। যে সব জায়গাকে তারা ‘নিরাপদ’ হিসাবে আগেভাগেই চিহ্নিত করেছে সেইসমস্ত জায়গায় কোনও হামলা চালানো হচ্ছে কী না তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় পর্বে সংঘর্ষ শুরুর পরে ইজরায়েলি বাহিনীর মূল টার্গেট দক্ষিণ গাজা ভূখণ্ড। অথচ তাদেরই নির্দেশে এক সময়ে দলে দলে মানুষ উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে এসেছেন। ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে এখন তাঁরা কোথায় যাবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি রাষ্ট্র সংঘের সেক্রেটারি অ্যান্তনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, গাজায় ইজরায়েলকে এমন পদক্ষেপ নিতে একেবারেই মানা করা হয়েছে যা সেখানকার সাধারণ মানুষদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

তবে হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ১৬ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার আরও তিন সেনার মৃত্যুর পরে সংঘর্ষে মৃত ইজরায়েলি সেনার সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫। তবে এমন আবহে ইজরায়েলের জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের পরামর্শ, খুব দরকার না হলে এই মুহূর্তে ইজরায়েলিদের বিদেশ ভ্রমণ না করাই ভালো।










































































































































