স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে সরকারের ক.ঠোর অবস্থান ফের একবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

0
2

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরানো নিয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অভিযুক্ত হাসপাতাল নার্সিং হোম গুলিকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু কথার কথা নয়, হুঁশিয়ারিকে কাজে পরিণত করে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান গুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। সোমবার বিধানসভায়  এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

এদিন বিধানসভার অধিবেশনে একাধিক বিষয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৮০০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় পৌনে ৯ কোটি মানুষ এতে (স্বাস্থ্যসাথী কার্ড) কভার পাচ্ছেন। কিছু অভিযোগ এসেছে। রেগুলেটরি কমিশন অভিযোগ পেয়েছে, ৫৫ হাসপাতাল, ৬৩ নার্সিংহোমের অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। ৪ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনেকের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দিলে হবে না। এটা আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প। বাংলায় শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। প্রসূতিদের জন্য আমরা ট্রানজিট ক্যাম্প করেছি। ৩০ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে হার্ট অপারেশন। কয়েক লক্ষ মানুষকে চোখের আলোয় চশমা দেওয়া হয়েছে। ৪২ মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।”

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের কত টাকা খরচ হয়েছে, সেই হিসাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথীতে আট হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পে অন্তত আট কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই পরিষেবায় যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, তার জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশন ৬৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ৯৯ শতাংশ শিশুর জন্ম হাসপাতালে হয়। তা যাতে শীঘ্রই ১০০ শতাংশ হয়, রাজ্য সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। দু’টি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির বিষয়টিও সোমবার বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী।