কথা দিয়ে কথা রাখেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। বলেন, “কথা দিয়ে কথা রাখি, বিরোধীরা রাখে না”। সোমবার সকালেই কার্শিয়ং পৌঁছন অভিষেক৷ কলকাতা (Kolkata) বিমানবন্দরের পরে বাগডোগরা বিমানবন্দরেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন অভিষেক। তাঁকে ঘিরে পাহাড়ে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস।
বাগডোগড়া বিমান বন্দরে নেমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। এর পরে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সবাই মিলে বিজেপির স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সময় অত্যন্ত কম। তাই যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের সাথে সমস্ত ইগো রাগ দূরে রেখে যে যেখানে শক্তিশালী তাকে সেখানে লড়াই করার সুযোগ দেওয়া উচিত। এতে মানুষের লাভ হবে। এদিন কংগ্রেসের ফল খারাপ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেসের উপরে ভরসা রাখা আর না রাখার আমি কেউ না। লোকতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে। কংগ্রেসে যারা চায় সবাই এক সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে তারা দ্রুত সবাইকে নিয়ে এক করার যে প্রয়াস করুক। ED-CBI বিষয়ে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন ইডি আর সিবিআই। তারা তো আছেই। এ নতুন কিছু নয়। ইডি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেশিদিন পক্ষে থাকতে পারবেন না।
লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে মুখ হবে? এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, কে মুখ হবে সে বলতে পারবো না। এগুলো পার্টির কার্যকর্তারা ঠিক করবেন। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ফল ভালো হবে। এখন কয়েকদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাজ চাককুঠিরেই থাকবেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে উচ্ছ্বাস–উদ্দীপনায় ভাসল পাহাড়৷ পাহাড়ের মানুষ তাঁকে দেখার জন্য রাস্তার দু’পাশে ভিড় করেছিলেন৷ কয়েক মিটার অন্তর তাঁর কনভয়কে দাঁড়াতে হয় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনার জন্য৷ জিটিএ প্রধান অনিত থাপা–সহ পাহাড়বাসী খাদা–মালা পরিয়ে স্বাগত জানান অভিষেককে৷ তিনিও পাল্টা অভিবাদন ফিরিয়ে দেন পাহাড়বাসীকে৷ রোহিণী বাজারে বিরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মালা পরিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান৷ এবং আধিবাসীদের জন্য তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ করেন৷