ব্যাঙ্ক প্র.তারণা মামলায় একযোগে শহরের তিন জায়গায় ত.ল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই

0
3

ব্যাঙ্ক প্রতরণা মামলায় সোমবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। দত্তাবাদ এবং নিউটাউনের দুটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই-এর তিনটি দল। বিভিন্ন ব্যাঙ্ককর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে,ভিন রাজ্যে ব্যাঙ্ক প্রতারণা চলেছে এ রাজ্য থেকে এমন অভিযোগও পেয়েছেন তারা। সেই প্রতারণার সঙ্গে কিছু ব্যাঙ্ক কর্মীও যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই পেয়েছেন তদন্তকারীরা। নিউটাউনে আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আরও কিছু তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।আসলে ব্যাঙ্ক প্রতারণায় যে জালিয়াতি হয়েছে তা খুঁজে বের করতে তৎপর সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর ১০ থেকে ১৩-র মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের কাছে IMPS প্রযুক্তির মাধ্যমে মোট ৮২০ কোটি টাকা চলে যায় বলে অভিযোগ। মানি রিসিপ্ট ছাড়াই এ রকম অবৈধ লেনদেন বুঝতে পেরে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ওই টাকার লেনদেন আটকে দেয়। ৬৪৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। বাকি ১৭১ কোটি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।কিন্তু হঠাৎ কীভাবে এ রকম বড় অংকের লেনদেন হল তা স্পষ্ট নয়। সিবিআই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে এটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি? না কোনও ব্যাঙ্ককর্মীর ভুল? না প্রতারণা?

বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল সিবিআইয়ের কাছে। এর পরই ঘটনা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। সেই তদন্তে ব্যাঙ্কের প্রযুক্তিগত বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মী, আইএমপিএস লেনদেনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা রয়েছেন সিবিআই স্ক্যানারে।প্রতারণার মূল কারণ খতিয়ে দেখাই এখন  চ্যালেঞ্জ সিবিআইয়ের কাছে।