দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে সোমবার বিধানসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে অর্থ খরচ করা হয়েছে, তার চেয়ে পুজোকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য হয়েছে বহুগুণ বেশি। তাতে উপকৃত হয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ী-শিল্পীরা।সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বার দুর্গাপুজোয় ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর বাজার হয়েছে ৮২ হাজার কোটি টাকা।তিনি অভিযোগ করেন, এর থেকেও জিএসটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র!
তিনি বলেন, আত্মনির্ভরশীলতা, আত্মসম্মান আমাদের কাজ করতে উদ্ধুদ্ধ করে। আমরা ক্ষমতায় এসে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। আগের সেল্ফ হেল্প গ্রুপে যে সংখ্যক মহিলা যুক্ত ছিলেন, এখন তা আরও বেড়েছে। ২ হাজার কোটি বাম আমলে বিনিয়োগ ছিল। এখন ৯২ হাজার কোটি। সরকার সাহায্য করছে। পুরুষ ও মহিলার ভাগ দেখা হচ্ছে না। বাংলা এগিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রকল্পের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, গতকাল আমি নিজে দেখেছি লক্ষ লক্ষ মানুষ হস্তশিল্প মেলায় এসেছেন। আমাদের হাতের শিল্প আমাদের সম্পদ। যত খুচরো বিক্রি বাড়বে। তত ভাল হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী আজ অনেক কাজ করছে। এটা আমাদের সেরা গ্রুপ। আমাদের ইকনমি গ্রোথ বেড়েছে। উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে অনেক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ অনেক চাকরি হচ্ছে। খুব ভাল কাজ হচ্ছে৷ প্রশিক্ষণ দেওয়ায় আমরা অন্যদের থেকে এগিয়ে।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের কত টাকা খরচ হয়েছে, সেই হিসাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথীতে আট হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পে অন্তত আট কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই পরিষেবায় যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, তার জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশন ৬৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে।
তিনি জানান, ৫৫টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। জরিমানাও করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।বলেন, এখন ৯৯ শতাংশ শিশুর জন্ম হাসপাতালে হয়। তা যাতে শীঘ্রই ১০০ শতাংশ হয়, রাজ্য সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। দু’টি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির বিষয়টিও সোমবার বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী।





































































































































