কী ঘটেছিল আজকের দিনে?

0
3

নন্দলাল বসু(১৮৮৩-১৯৬৬) এদিন খড়্গপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ভারত শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ। ছোটবেলায় কুমোরদের মূর্তি গড়া দেখতেন। পিসতুতো ভাই অতুল মিত্রের পরামর্শে অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে গণেশের ছবি এঁকে দেখান। চমৎকার ছবি— অবনীন্দ্রনাথ অস্ফুটে বলে উঠলেন, শাবাশ। সেই থেকে ছেলেটি নাড়া বাঁধল অবনীন্দ্রনাথের কাছে। আর্ট কলেজের পর তাঁর বাড়িতেই তিন বছর শিল্পচর্চা। ১৯২০ থেকে স্থায়ীভাবে শান্তিনিকেতনে বাস করতে শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে চিন, জাপান, সিংহল প্রভৃতি দেশ পরিভ্রমণ করেন। গান্ধীজির ডাকে সাড়া দিয়ে লখনউ, ফৈজপুর, হরিপুরায় কংগ্রেসের অধিবেশন উপলক্ষে ভারত শিল্পের প্রদর্শনী করেন। দেশ স্বাধীন হলে ভারত সরকার পদ্মভূষণ উপাধি দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করে। নিবেদিতা তাঁর শিল্পকর্মে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এই নিবেদিতার বোস পাড়া লেনের বাড়িতে প্রথম গিয়েছেন নন্দলাল। সঙ্গে অসিত হালদার। ছোট্ট দোতলা বাড়ি। আরও ছোট এক ঘর। মেঝেতে কার্পেট পাতা। তার ওপর সোফা। বসতে বলা হলে, নন্দলাল-রা সোফায় গিয়ে বসলেন। তা দেখে নিবেদিতা তাঁদের আসন করে বসতে বললেন। নীরবে দুজন সোফা থেকে নেমে মেঝেতে বসলেন। নন্দলালদের মনে অভিমানের ফুলকি। নিবেদিতা বুঝতে পারলেন, কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বললেন, বুদ্ধের দেশের লোক হয়ে তাঁদের সোফায় বসতে দেখে তাঁর ভাল লাগেনি। মাটিতে আসন করে বসাতে তাঁদের যেন ঠিক বুদ্ধের মতো লাগছে। দেখাচ্ছেও বেশ। কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে সেদিকে চেয়ে থেকে, কী দেখেছিলেন কে জানে! খুশিতে উচ্ছ্বল হয়ে সঙ্গী ক্রিস্টিনাকে ডেকে তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।

ক্ষুদিরাম বসু(১৮৮৯-১৯০৮) এদিন মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। অল্পবয়সে বাবা-মাকে হারান। বড় বোনের কাছে প্রতিপালিত হন। মেদিনীপুর মারাঠা কেল্লায় একটি প্রদর্শনীতে বিপ্লবী পত্রিকা ‘সোনার বাংলা’ বিলির সময় পুলিশ গ্রেফতার করতে এলে পুলিশকে পিটিয়ে পালিয়ে যান। পরে ধরা পড়লেও বয়স অল্প বলে মামলা তুলে নেওয়া হয়। ১৯০৬-এ কাঁসাই নদীর বন্যার সময় রণপার সাহায্যে ত্রাণ বণ্টন করেন। অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে মারতে প্রফুল্ল চাকীকে সঙ্গে নিয়ে মজঃফরপুরে যান। তাঁদের ছোঁড়া বোমায় ভুলক্রমে মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যা নিহত হন। বিচারে ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়(১৯০৮-১৯৫৬) এদিন প্রয়াত হন। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম প্রবোধকুমার। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় প্রথম গল্প ‘অতসী মামী’ প্রকাশিত হয়। তাঁর কলম থেকে বাংলা সাহিত্য পেয়েছে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ‘জননী’ ইত্যাদি।

বিষ্ণু দে (১৯০৯-১৯৮২) এদিন প্রয়াত হন। প্রখ্যাত কবি। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’, ‘চোরাবালি’ ইত্যাদি। সাধারণ কাব্যপাঠকের কাছে তাঁর কবিতা কখনও-কখনও দুর্বোধ্যতার নজির গড়েছে। জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে সম্মনিত এই কবির আত্মজীবনী ‘ছড়ানো এই বই জীবন’।

২০১১দেব আনন্দ (১৯২৩-২০১১) এদিন সুরলোকে চলে গেলেন। এভারগ্রিন এই চিত্রতারকার পুরো নাম ধরম দেবদত্ত পিশোরিমাল আনন্দ। অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে আছে ‘জিদ্দি’, ‘বাজি’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘সিআইডি’, ‘কালাপানি’, ‘কালাবাজার’, ‘গাইড’, ‘জুয়েল থিফ’, ‘গ্যাম্বলার’, ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’, ‘হীরা পান্না’ ইত্যাদি।

১৮৮৪ সালে ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ (১৮৮৪-১৯৬৩) এদিন বিহারের সিওয়ান জেলার জিরাদেইতে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি। চম্পারণের কৃষক আন্দোলনের সময় থেকে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গী। অসহযোগ আন্দোলনের সময় আইন পেশা ছেড়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে যোগ দেন।

শ্যামল গুপ্ত(১৯২২-২০১০) এদিন জন্ম নেন। বিংশ শতকের শেষার্ধের আধুনিক বাংলা রোম্যান্টিক গানের কিংবদন্তি গীতিকার সুরকার ও সংগীত শিল্পী। বিশ শতকের পাঁচের দশক থেকে সত্তর দশক অবধি বাংলা গানের জনপ্রিয় গীতিকার হিসেবে যাঁরা খ্যাতির মধ্যগগনে ছিলেন তিনি তাঁদের অন্যতম। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রী।