সারাদেশে বেকারত্ব বাড়ছে। কিন্তু তাই বলে রাজ্যের মন্ত্রীর পুত্র গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য আবেদন জানিয়েছেন! ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) শ্রমমন্ত্রীর (Labour Minister) ছেলে মুকেশ কুমার খবর শুনে তাজ্জব নেটিজেনরা। চাকরি নিশ্চিত হলে করবেন বলেও জানিয়েছেন মুকেশ।

যে চাতরা বিধানসভা (Chatra constituency) থেকে বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সত্যানন্দ ভোক্তা, সেখানেই চাতরা সিভিল কোর্টে (Chatra Civil Court) পিওন পদের জন্য আবেদন করেন মুকেশ। ভারতের রাজনীতিতে যেখানে বরাবর বিধায়ক-সাংসদ বা মন্ত্রীপুত্রদের পদের জন্য রাজনীতি করতে দেখা যায়, সেখানে মুকেশ যেন উলটপুরাণ। পরিবারের আপত্তিকে থোড়াই কেয়ার করে হাজার হাজার সাধারণ চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে একসারিতে এসে দাঁড়িয়েছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এই মন্ত্রীর ছেলে। তবে শুধু মুকেশ না, সিভিল কোর্টের এই পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন মন্ত্রীর ভাগ্নে রামদেব ভোক্তাও, হয়তো মুকেশের ছকভাঙা স্বপ্ন তাঁর ওপরও খানিকটা প্রভাব ফেলেছিল।

চাতরা সিভিল কোর্টের চতুর্থ শ্রেণির ১৯টি শূন্যস্থানের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইন্টারভিউয়ের শেষে ১৩ নম্বরে নাম ওঠে মুকেশের। অর্থাৎ এই পদের তাঁর চাকরি পাকা। মুকেশের বাবা সত্যানন্দ ভোক্তা চাতরা বিধানসভার তিনবারের বিধায়ক। ২০১৯ সালে জয়ের পর আরজেডি (RJD) তাকে মন্ত্রীও করেছে। গতবছর তাঁর ছেলে মুকেশের বিয়েতেই যোগ দিয়েছিলেন খোদ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। সেই খবর ছড়িয়ে ছিল রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমেও। সেই মুকেশ সোশ্যাল মিডিয়ার খবরে। কিন্তু এবার কারণটা একেবারেই আলাদা। ছক ভেঙে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি সসম্মানে করার হিম্মত দেখিয়ে মুকেশের দাবি, “পিওনের চাকরি নিতে দোষের কিছু নেই। যোগদানের তারিখ জানানো হলে আমি চাকরিটি গ্রহণ করব।”


 
 
 
 


































































































































