ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে নয়, টেস্টে সম্পূর্ণ ফিট শামিকে চাইছে বিসিসিআই!

0
2

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আগামিদিনে কি খেলতে দেখা যাবে মহম্মদ শামিকে? বাংলার এই পেসারকে নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন চিহ্ন।বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশের পরিকল্পনায় ছিলেন না মহম্মদ শামি।প্রথমে টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছিল, কারও চোট লাগলে পরিস্থিতি সামলাতে শামিকে মাঠে নামানো হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার্দিক পাণ্ডিয়া চোট পাওয়ায় পঞ্চম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলার জোরে বোলার। তার পর আর তাঁকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখতে পারেনি রোহিত ব্রিগেড।সাতটি ম্যাচ থেকে ২৪টি উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন শামি। তিনটি ম্যাচে নেন পাঁচটি বা তার বেশি উইকেট।

কিন্তু বিশ্বকাপ মিটতেই তিনি ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটের পরিকল্পনার বাইরে!কারণ, বিশ্বকাপে গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন ৩৩ বছরের ক্রিকেটার। আপাতত তাই তিনি মাঠের বাইরে। সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরিকল্পনাও তেমন।

আসলে বোর্ড চায় তাঁকে টেস্ট ক্রিকেটে সব সময় সম্পূর্ণ ফিট অবস্থায় পেতে। তাই সাদা বলের ক্রিকেটের পরিকল্পনায় তাঁকে আর না-ও রাখা হতে পারে।ভারতীয় বোর্ড সূত্রে খবর, এখনই শামিকে সাদা বলের ক্রিকেটে খেলানো হবে না। সামনে সাতটি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দু’টি এবং দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট। বোর্ড কর্তাদের মত, ভারতীয় উপমহাদেশের পিচে টেস্ট ক্রিকেটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার সম্ভাবনা বাংলার জোরে বোলারের। তাই শামির চাপ সীমিত রাখতে তাঁকে শুধু লাল বলের ক্রিকেটে খেলানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সামনের বছর জুন মাসে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।নজরে থাকবে আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে তাঁর পারফরম্যান্সের ওপর। চার বছর পর শামির পক্ষে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা কম। তাঁর সামনে বিশ্বপর্যায়ের সাদা বলের প্রতিযোগিতা বলতে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই তাঁকে মূলত টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভাবা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, গোড়ালিতে চোট রয়েছে শামির। টেস্ট কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করতে হলে আপাতত সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে দূরে সরে থাকতে হবে তাঁকে।শামির চোট কতটা গুরুতর, সেই ব্যাপারে কিছু জানায়নি বোর্ড।সেই কারণেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শামিকে পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।