ক.বর কার? বি.বাদে কলকাতার দুই প্রবাদপ্রতিম পরিবার, মেটাতে আসরে ফিরহাদ

0
1

দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর। আর দেশের প্রথম দাঁতের চিকিৎসক ডা. রফিউদ্দিন আহমেদ। বেঁচে থাকতে এই দুই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তি হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি তাঁদের মৃত্যুর পরে তাঁদের গোরস্থান নিয়ে বিবাদ বাধবে দুই পরিবারের মধ্যে। জল এতদূর গড়িয়েছে যে আগামী জানুয়ারি মাসে যুযুধান দুই পরিবারকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন কলকাতার (Kolkata) মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

ব্লক ৯, এক নম্বর রো, তিন নম্বর গোবরা কবরস্থান। পার্ক সার্কাসের এই জায়গাটিকে ঘিরে গোলমাল আলতামাস কবীর ও ডা. আর আহমেদের পরিবার। দুই তরফেরই দাবি, গোবরা গোরস্থানের ওই কবর তাঁদের। তবে এই বিবাদ আজকের নয়, এর সূত্রপাত ৫ বছর আগে। ডা: আহমেদের নাতনি ডা. জারিনা আলিয়ার দাবি, ওইখানেই ১৯৬৫ সালে কবর দেওয়া হয়েছিল তাঁর দাদুকে। জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র সমস্ত কিছু আছে। কিন্তু সেকথা মানতে নারাজ প্রয়াত প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের পরিবার। তবে, এখন গোবরা ৩ নম্বর কবরস্থানের ওই জায়গায় আনোয়ারা খাতুনের কবর রয়েছে।

এই আনোয়ারা খাতুন আবার আলতামাস কবীরের স্ত্রী মীনা কবীরের আত্মীয়া। ফলক অনুযায়ী ১৯৭৫ সালে মারা গিয়েছেন তিনি। যদিও জারিনা আলিয়ার প্রশ্ন, তাঁদের কেনা জমিতে অন‌্য লোকের কবর হয় কীভাবে? সমস‌্যা সমাধানের একাধিকবার চেষ্টা করেছে পুরসভা। দুপক্ষই নিজেদের প্রিয়জনের মৃত্যুদিনে কবরে ফুল দিতে চায় কিন্তু সেখানে অন্য লোকের কবর। একবার প্রস্তাব হয়েছিল কবরের জায়গাকে আড়াআড়ি ভাগ করে দুপক্ষই সেখানে শ্রদ্ধা জানাক। যেহেতু দুজনের মৃত্যু দিন আলাদা। আলাদা ভাবেই তারা পালন করতে পারবে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে দুই পরিবারের কেউই রাজি নন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মতে, এভাবে সমস‌্যা সমাধান সম্ভব নয়। আগামী জানুয়ারিরতে দুই পরিবারকে নিয়ে মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন তিনি।