আদিবাসী দলিতদের অপমান ও মোদি সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের ব্লকে ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন কর্মী-সমর্থকরা। বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শনি ও রবিবার প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল। শনিবার প্রতিবাদ মিছিলের প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পাশাপাশি আদিবাসীদের উপর অবমাননার বিষয়টি প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে।
শনিবার কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে মিছিল করে প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হওয়ার পাশাপাশি আদিবাসী অবমাননার বিরুদ্ধেও একযোগে গর্জে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা।
এদিন রাজাবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভায় ছিলেন শান্তি কুন্ডু, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী,শচীন সিং, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা,দলের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল প্রমুখ। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, দলিতদের জন্য আদিবাসীদের জন্য নাকি বিজেপির প্রাণ কাঁদে। অথচ মনিপুরে যখন আদিবাসী মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছিল তখন ওদের দেখা পাওয়া যায়নি। তখন ওরা মুখ বুজে ছিলেন। বিধানসভায় দলিত ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা ও মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন বলেই গঙ্গা জল দিয়ে শুদ্ধিকরণের কাজ করেছে গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ওরা জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করে, আদিবাসীদের অপমান করে।মন্ত্রী বীরবা হাঁসদাকে কুরুচিকর মন্তব্য করে। এর জন্য আগে ক্ষমা চাক গদ্দার, চোর শুভেন্দু। ওদের মুখে আদিবাসীদের পাশে থাকার কথা মানায় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এই সরকার সবসময় আদিবাসীদের পাশে আছে, তা বাংলার মানুষ জানে। অমিত শাহের ‘ফ্লপ শো’ থেকে চোখ ঘোরাতেই এই কর্মকান্ড বিজেপির। ওরা রাজ্যের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে। যারা ১০০ দিনের কাজ করেছেন তারা টাকা পাননি, রাজ্যকে বঞ্চিত করে চলেছে ওরা।আগে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া মেটাক।
যুব তৃণমূল নেতা তথা মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল বলেন, বিজেপি শুধু ইডি ও সিবিআই দিয়ে ধমকাতে ও চমকাতে পারে, মানুষকে নিয়ে চলতে জানে না। বিজেপি জাতীয় সঙ্গীত জানে না। তাই জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করতে তারা পিছপা হয় না।
এদিন দিকে দিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতারা আওয়াজ তোলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারী নীতি ও বঞ্চনার প্রতিবাদে বাংলার সাধারণ খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা, আবাস যোজনার প্রাপ্য টাকা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে আটকে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাপ্য টাকা না মেটানো পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।