হিন্দমোটরে রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া! মায়ের দে.হ আগলে বসে ছেলে

0
2

রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার হুগলির (Hoogly) হিন্দমোটরে (Hindmotor)। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মায়ের (Mother) পচাগলা মৃতদেহ। পুলিশ (police) সূত্রে খবর, হিন্দমোটের এক নম্বর বি এন দাস রোডের এক আবাসনে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী কল্যাণী হাজরা (৬৫) (Kalyani Hazra) তাঁর ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কল্যাণী। গত তিন দিন ধরে দরজা বন্ধ ছিল ফ্ল্যাটের (Flat)। ফ্ল্যাটের পরিচারিকা গীতা দাস জানান, শনিবার তিনি কাজে এসে দেখেন ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে দূর্গন্ধ বেরোচ্ছে। এরপরই ঘরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ পরিচারিকার। তিনি দেখেন, ঘরের ভিতরে পড়ে রয়েছে কল্যাণী হাজরার নিথর দেহ।

এরপরই বিষয়টি দেখে সন্দেহ হওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মীর ছেলেকে গীতা প্রশ্ন করলে জানতে পারেন তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোচ্ছেন। তবে বিষয়টি বেগতিক বুঝেই পরিচারিকা ঘটনার কথা প্রতিবেশীদের জানানোর জন্য ফ্ল্যাট থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলে তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে শুভ্রনীল (৩৫)। এরপরই পরিচারিকা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে দরজা খুলে দিতে বাধ্য হয় শুভ্রনীল। কিন্তু গীতা বেরোনোর পরই ফের দরজায় ভিতর থেকে তালা লাগিয়ে দেন গুণধর ছেলে। তবে এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দিনদু’য়েক আগে মৃত্যু হয়েছে কল্যাণী দেবীর।

এদিকে শনিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর কংস বণিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং তিনিই পুলিশে খবর দেন। কাউন্সিলর জানান, আত্মীয় থেকে এলাকার কোনও মানুষের সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতেন না কল্যানী দেবী বা তাঁর ছেলে শুভ্রনীল। তবে এদিন খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেশ কিছুক্ষন ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় দরজা ভাঙতে বাধ্য হয় পুলিশ। এরপরই ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে পুলিশ মৃতেদহ উদ্ধার করে। বর্তমানে মহিলার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান, সেই রিপোর্ট হাতে এলেই সবকিছু পরিষ্কার হবে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।