AIIMS থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে উদ্ধার হওয়া ৪০ শ্রমিক, একজন রয়ে গেলেন হাসপাতালে

0
3

শেষমেশ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সিল্কিয়ারার ধসে সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা। উল্লেখ্য, সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর প্রথমে এক স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁদের। (Tunnel) এরপর, বায়ুসেনার চিনুক কপ্টারে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ঋষিকেশ এইমস হাসপাতালে (AIIMS)। বৃহস্পতিবার ঋষিকেশ এইমস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৭ দিন আটকে থাকার পর উদ্ধার হওয়া ৪১ জন শ্রমিককেই (Workers) ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেকারণেই বৃহস্পতিবার রাতেই অধিকাংশ শ্রমিক বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

তবে, হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৪০ জন শ্রমিককে ছাড়া হলেও উত্তরাখণ্ডের এক কর্মীকে চিকিৎসার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। সুড়ঙ্গে আটকে থাকার জন্য নয় তাঁর অসুস্থতা জন্মগত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এইমস ঋষিকেশের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট জানান, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই শ্রমিকদের দেহে কোনও শারীরিক আঘাত বা অন্য কোনও রোগের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আগে থেকেই তাঁদের যা যা রোগ ছিল, তা জানতেও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া, তাঁদের রক্ত পরীক্ষা, কিডনি পরীক্ষা, ইসিজি, লিভার ফাংশন পরীক্ষা এবং এক্স-রে করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, সমস্ত শ্রমিক শারীরিকভাবে স্বাভাবিক এবং ক্লিনিক্যালি স্থিতিশীল আছেন।

তবে উত্তরাখণ্ডের যে শ্রমিককে হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়েছে, তাঁর শরীরে অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে, তার সঙ্গে সুড়ঙ্গে আটকে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকেও জানিয়েছে। প্রয়োজনে দু’সপ্তাহ পর কাছাকাছি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের। চিকিৎসকরা মনে করছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ সুড়ঙ্গে আটকে তাকার কারণে তাঁদের মানসিক সমস্যা হতে পারে। এদিকে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে তিনজন পশ্চিমবঙ্গের, ১৫ জন ঝাড়খণ্ডের, ৮ জন উত্তর প্রদেশের, ৫ জন করে ওড়িশা ও বিহারের, ২ জন অসম এবং উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের একজন করে শ্রমিক ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের বিমানে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকারই।