জাতীয় সঙ্গীত অ.বমাননার অ.ভিযোগ! ৫ বিজেপি বিধায়ককে তলব লালবাজারের, ক্ষ.মাপ্রার্থনার দাবি তৃণমূলের

0
1

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে অস্বস্তিতে বিজেপি বিধায়করা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এবার বঙ্গ বিজেপির বিধায়কদের তলব করল কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা। আগামী সোমবার পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আপাতত মনোজ টিগগা, দীপক বর্মণ সহ মোট ৫ বিজেপি বিধায়ককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পরে বাকি বিজেপি বিধায়কদেরও তলব করা হতে পারে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। তবে হাই কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় বিরোধী দলনেতা তথা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যায়নি। এদিকে বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের।

শুক্রবার বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, অমিত শাহের সভা চূড়ান্ত ফ্লপ। সেই সভার কলঙ্ক ঢাকতেই বারবার জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হচ্ছে। এরপরই তিনি অভিযোগ করেন, দেশবিরোধী কাজ করেও বিজেপির কেন্দ্র বা রাজ্যের কোনও নেতাই ক্ষমা চাননি। অমিত শাহের উচিত এঁদের সতর্ক করা ও নিন্দা করা। তবে এদিন তাপস রায় সাফ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়কদের এই অমার্জনীয় অপরাধের জন্য অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা সংবিধানসম্মত, আইনসম্মত ও বিধানসভার রীতি মেনে অধ্যক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। স্পিকার সচিবালয় মারফৎ পুলিশকে জানিয়েছেন। গত ৪৮ ঘণ্টায় বিজেপির বিরুদ্ধে পরপর দুবার জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ সামনে আনলেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে ফ্লপ শাহী সভা সেরে গদ্দার শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের অসভ্যতায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। এদিন বিআর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন। তৃণমূলের ধর্নার অদূরেই পাল্টা ধরনা শুরু করেন তাঁরা। এরই মধ্যে ধরনাস্থলে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে তৃণমূল। অভিযোগ, ওই জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও নিজেদের মতো স্লোগান দেওয়া চালিয়ে যায় বিজেপি। যার জেরে শুভেন্দু-সহ মোট ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনে প্রথমে স্পিকারের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। পরে অভিযোগ দায়ের করা হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। এরপর বৃহস্পতিবারই হেয়ার স্ট্রিট থানা মোট ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় লালবাজারের হাতে। এবার তদন্তে নেমেই আগামী সোমবার ৫ বিজেপি বিধায়ককে তলব করল লালবাজার। পাশাপাশি রক্ষাকবচ পেরিয়ে কীভাবে গদ্দার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যায়, সেটা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করছেন লালবাজারের কর্তারা। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে পুলিশ।