এখনও বাজার থেকে তোলা হয়নি ২০০০ টাকার সব নোট। এখনও সাধারণ মানুষের পকেটে বা বাজারে রয়ে গিয়েছে গোলাপী নোট। নোটিশ জারি করে জানালো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই নোট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ পেরিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে আদৌ পকেটে থেকে যাওয়া তাদের ২০০০-এর নোটটি আর বৈধ কি না।

শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে আরবিআই জানিয়ে দিল ২০০০-এর গোলাপী নোট এখনও ‘বৈধ’। অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর পেরিয়ে গেলেও বাজারে লেনদেন করা যাবে এই নোট। আরবিআই-এর বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এখনও পর্যন্ত ৯৭.২৬ শতাংশ নোট জমা পড়েছে। বাজারে এখনও ৯.৭৬০কোটি টাকার পরিমাণ ২০০০টাকার নোট রয়েছে।
নোটবন্দির পর ঘটা করে বাজারে এসেছিল ২০০০টাকার নোট। আরবিআই সুত্র অনুসারে এই নোট ব্যাপক হারে জাল হওয়া শুরু হওয়ায় ২০২৩ সালে এই নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে আরবিআই। ১৯ মে সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজার থেকে সব ২০০০টাকার নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বরেও বিপুল পরিমাণ এই নোট বাজারে থেকে যাওয়ায় দিন বাড়িয়ে প্রথমে ৯ অক্টোবর ও পরে ৩০ নভেম্বর করা হয়।
৩০ নভেম্বরের মধ্যেও বাজার থেকে সব নোট তুলতে না পারাতেই এই নোটের বৈধতা আরও বাড়ানো হল বলেই অনুমান অর্থনীতিবিদদের। ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে বাজার থেকে পুরোনো ৫০০টাকা ও ১০০০টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পরে দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। সরকারি ঘোষণায় আতঙ্কে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হয় বহু নাগরিকের। তবে ২০০০-এর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধীরে চলো নীতি খানিকটা সেই আতঙ্ক কমাতে পেরেছে বলেই অভিমত অর্থনীতিবিদদের।









































































































































