চিকিৎসা করাতে গিয়েই সামনে এল প.ণবন্দিদের উপর হা.মাসের নি.র্যাতন

0
2

অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার (Low Quality Food) দেওয়ার অভিযোগ। আর সেকারণেই আশ্চর্যজনকভাবে কমে গিয়েছে সকল পণবন্দিদের (Hostages) ওজন (Weight)। হ্যাঁ, হামাসের এমন কীর্তিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে কারাবাসে বন্দি, তারওপর দিনের পর দিন সূর্যের আলোটুকুও দেখতে না পাওয়া এবং জঘন্য খাবার সব মিলিয়ে পণবন্দিদের দুর্দশার ছবি সামনে আসছে। আর যে চরম কাহিনী শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন। পণবন্দিদের মুক্তির পরই উঠতে শুরু করেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন। পণবন্দিরা দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা সামনে না আনলেও তাঁদের শারীরিক অবস্থা (Health Condition) দেখে মাথা খারাপ হওয়ার উপক্রম চিকিৎসকদের।

এদিকে হামাসের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই শামির মেডিক্যাল সেন্টারে ১৭ থাই নাগরিককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাঁরা যাঁদের দেখেছেন, বন্দিদশায় সকলকেই অত্যন্ত অপুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়েছিল। আর সেকারণেই এত কম সময়ের মধ্যে সকলেই উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁদের ওজন হারিয়েছেন। চিকিৎসকরা আরও জানান, আনুমানিক ১০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি ওজন কমেছে পণবন্দিদের। পাশাপাশি পণবন্দিদের সূর্যের আলো দেখারও সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি। সারাদিনে মেরেকেটে ২ ঘণ্টা পণবন্দিদের আলো দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে পণবন্দিরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ভাত, নোনতা চিজ, হামুস ফাভা বিনস খেতে দেওয়া হয়েছে। তবে এখানেই থামেনি অত্যাচার। বন্দিদশায় সময় কাটাতে কাগজ-কলম বা পেনসিল চাইলেও তা দিতে অস্বীকার করেছে হামাস। পণবন্দিদের কাছে সময় কাটানোর একমাত্র উপায় ছিল একে অপরের সঙ্গে কথা বলা। কিন্তু সকলেরই যে এমন সুযোগ মিলেছে তা নয়। সূত্রের খবর, এক ফরাসি-ইজরায়েলি এক ১২ বছরের যুবককে এক ঘরে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ১৬ দিন।

তবে এখনও পর্যন্ত হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৫০-এরও বেশি ইজরায়েলি পণবন্দি। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের পাশাপাশি বহু শিশুও রয়েছে। পাশাপাশি মুক্তি দেওয়া হয়েছে বহু বিদেশিকেও।