আগামিকাল, বুধবার ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির সমাবেশ। প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহি সমাবেশকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু গেরুয়া শিবিরে। সমাবেশের দিন দূর দূরান্ত থেকে কর্মী, সমর্থকদের কলকাতায় আনতে সর্বোচ্চ তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির। রাজ্য এমনকি, ভিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আনার জন্য ব্যবস্থা একাধিক ট্রেনের। লাখ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেন ভাড়া করায় কটাক্ষ তৃণমূলের।
পুজোর আগে ১০০দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও বিমাতৃসুলভ আচরণের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের নিয়ে দিল্লি যাওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ট্রেন ভাড়া করা হয়েছিল। উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলন আটকাতে তৃণমূল কর্মীদের জন্য ভাড়া করা ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। এবার বিজেপি নিজেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে কর্মী আনার চেষ্টা করছে।
ইতিমধ্যেই ৮টি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার জন্য বিজেপির খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। উত্তরবঙ্গ থেকে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর থেকে পৃথক পৃথক ট্রেন, বোলপুর থেকে একটি পৃথক ট্রেন, এছাড়াও বীরভূমের জন্যেও পৃথক ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কলকাতাতে অমিত শাহের সভাতে মালদা থেকে বিশেষ ট্রেন দেওয়া হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ২৮ রাত ১০:১৫ মিনিটে মালদা থেকে এই ট্রেনটি ছাড়বে। এই ট্রেনে দক্ষিণ মালদা, উত্তর মালদা সাংগঠনিক কার্যকর্তা কর্মীরা যাবেনl সাড়ে চার হাজার কার্যকর্তা এই ট্রেনে যাবেন। ২২টি বগি থাকবে।
ফারাক্কা, জঙ্গিপুর, আজিমগঞ্জ, কাটোয়া, ব্যান্ডেল, নৈহাটি শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছবে ভোর পাঁচটায়। অন্যদিকে, বালুরঘাট থেকে রাত্রি দশটায় একটি স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে ট্রেনটি গঙ্গারামপুর, গাজোল, মালদা। আজিমগঞ্জ কাটোয়া ব্যান্ডেল নৈহাটি হয়ে ভোর ৬টায় শিয়ালদা স্টেশনে পৌছাবে।
এছাড়াও দুই ২৪ পরগনা থেকে লোক আনতে শিয়ালদহ ডিভিশনে দুই শাখায় একাধিক স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল। একটি রাজনৈতিক সভার জন্য স্পেশাল ট্রেন দেওয়া কার্যত নজিরবিহীন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “২৯ তারিখ ঝাড়খন্ড, বিহার, ত্রিপুরা থেকে ট্রেন ভাড়া করে লোক আনবে। আর সিপিএম লোক দেবে। বিজেপির আসল লোক তো সিপিএমের। তাই বিজেপির ভোট বাড়ে, আর সিপিএমের ভোট কমে। মাঠে কমরেড ও রামরেডরা থাকবে।”