মধ্যরাতেই শেষ যু.দ্ধবিরতির মেয়াদ, নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারিতে প্র.মাদ গুনছে গাজা

0
11

৭ অক্টোবর থেকে চলতে থাকা চলতে থাকা লাগাতার হামলার মুখে ধ্বংসের মুখে গাজা উপত্যকা। লাগাতার হামলার মুখে কিছুটা স্বস্তির শ্বাস নিতে বন্দি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গিয়েছে হামাস। ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে(স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৭টায়)। মেয়াদ শেষের পর এবার কি পরিণতি হতে চলেছে গাজার? অবশ্য ইতিমধ্যেই গাজার মাটিতে গিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “লড়াই থামবে না।” ফলে নতুন করে হামলার প্রমাদ গুনছে গাজা উপত্যকা।

জানা গিয়েছে, এই ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে এখনও পর্যন্ত ৬৩ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অন্যদিকে, ১১৭ জনকে মুক্তি দিয়েছে ইজরায়েল। পাশাপাশি ১৮ শিশু ও ৪৩ মহিলা সমেত ১৮৩ জন এখনও হামাসের হেফাজতে। এর মাঝেই গাজার মাটিতে পা রেখে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ হতে এখনও অনেক বাকি। হামাসকে (Hamas) নিঃশেষ করে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে হবে, গাজা যেন ইজরায়েলের বিপদের কারণ হয়ে উঠতে না পারে। তবে ইজরায়েল যতই হুঙ্কার দিক যুদ্ধ থামানোর জন্য গোটা বিশ্বের তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছে ইজরায়েলকে। রবিবার ইজরায়েলের তরফে বিবৃতি জারি করে ইজরায়েলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন যুদ্ধ বিরতি জারি রাখে। আরও পণবন্দির মুক্তির বিনিময়ে আরও ৪ দিনের যুদ্ধ বিরতির দাবি রেখেছে হামাস।

তবে ইজরায়েল হুঁশিয়ারি দিলেও, এখনও কিছু বন্দি হামাস সহ অন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে আটক রয়েছে। তার মাঝে এই ধরণের হামলা হলে সেই বন্দিদের ভবিষ্যতে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য ইজরায়েলের ওপরও চাপ দেওয়া হচ্ছে। পণবন্দিদের পরিবারের পাশাপাশি ইজরায়েলের মিত্র দেশগুলো আরো বেশি মানুষের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাপ বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, “যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই।” অবশ্য এই বিষয়ে আগেও নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন প্রতি ১০ জন বন্দি মুক্তির বিনিময়ে ১ দিনের যুদ্ধ বিরতি বাড়ানোর কথা। এহেন পরিস্থিতির মাঝে রবিবার গাজার মাটিতে দাঁড়িয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি আসলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হামাসকে চাপে রাখার পন্থা বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- বাবরের পারফরম্যান্স নিয়ে খোঁচা অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের, ভাইরাল পোস্ট