ধৃত বিজেপি নেতাকে (BJP Leader) নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে তাঁকে। আর এমন দাবিতে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (Khejuri) সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে বনধ ডেকেছে বিজেপি। সোমবার সকালে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে খেজুরিতে। সকাল ৬টা থেকেই বনধ চলছে খেজুরির মোট ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বনধের (Strike) সমর্থনে খেজুরির একাধিক এলাকার সকাল থেকে মিছিল করেছে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বনধ সমর্থনকারীরা। খবর পেয়েই বেশ কিছু এলাকায় পুলিশ গিয়ে অবরোধ সরিয়ে দেয়। কিন্তু পুলিশ কিছুটা চলে যেতেই ফের অবরোধে বসেন বিজেপি কর্মীরা। আর সোমবার গায়ের জোরে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাদাগিরি নিয়ে ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
গত ২৩ নভেম্বর খেজুরির বাঁশগোড়ায় তৃণমূলের সভামঞ্চ, প্রচারগাড়ি ও কর্মীদের মারধরের ঘটনায় বিজেপির যুব নেতা রবিন মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বিজেপি নেতাকে। এই অভিযোগ তুলে শনিবার রাতে প্রায় সাড়ে ১০ নাগাদ মারিশদা থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু শুভেন্দু অধিকারী। থানা থেকে বেরিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করেন তিনি। প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করার কথাও বলেন তিনি এবং সোমবার খেজুরিতে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেন। সেই ঘোষণা মতোই সোমবার সকাল থেকে বনধ হচ্ছে খেজুরির বিভিন্ন এলাকায়।
যদিও এই বনধ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, তাঁরা কোনও কর্মনাশা বনধ চান না। তাই তাঁরা সকল দোকানপাট, বাজার সব কিছু খোলা রাখার আহ্বান করেন।