দুঃ.স্বপ্নের ২ সপ্তাহ! উত্তরকাশীর উদ্ধারকার্যে এবার শুরু উল্লম্ব ভাবে সু.ড়ঙ্গ খননের কাজ

0
1

উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারের লড়াই চলছে এখনও। রবিবার উদ্ধার অভিযানের ১৫-তম দিন। সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে খননকাজ থমকে যাওয়ায় এ বার শ্রমিকদের উদ্ধারে ভার্টিক্যাল (উল্লম্ব) ভাবে খনন কার্য শুরু হল রবিবার সন্ধ্যা থেকে। শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রায় ৮৬ মিটার এখনো ড্রিল করা বাকি রয়েছে।

যদিও উদ্ধারকার্য প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বলেছেন, উদ্ধার অভিযানে আর অগার মেশিন ব্যবহার করা হবে না। এখন, থেকে ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু হবে। উদ্ধারকাজ শেষ হতে হতে বড়দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। অবশ্য আর্নল্ড একথাও বলেছেন, তার আগেও শেষ হয়ে যেতে পারে উদ্ধার কাজ। কিন্তু সেই সঠিক সময়টা এখন থেকে বলা যাচ্ছে না। দ্রুত উদ্ধারের বদলেএই মুহূর্তে শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই এই কাজে যে তাড়াহুড়ো করা একেবারেই উচিত হবে না সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তরফেও জানানো হয়েছে, এই অপারেশন দীর্ঘ সময় নিতে পারে.
উল্লেখ্য অগার মেশিন কাটার জন্য শনিবার গভীর রাতে একটি প্লাজমা কাটার এবং লেজার কাটার সিল্কিয়ারা আনা হয়। দেরাদুন, তেহরি এবং উত্তরকাশী পুলিশ প্রশাসন এর জন্যে সবুজ করিডোর তৈরি করে প্লাজমা কাটার এবং লেজার কাটারকে সিল্কিয়ারা টানেলে পাঠায়। এনডিএমএ র সদস্য, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন জানিয়েছেন, প্ল্যান এ অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সর্বোত্তম পদ্ধতি হল (অনুভূমিক ড্রিলিং) যেখানে ভিতরের ড্রিলিং ম্যানুয়ালি করা হবে। দ্বিতীয় সেরা বিকল্পটি হলো উল্লম্ব ড্রিলিং, কারণ সেখানে কিছুটা হলেও ঝুঁকি রয়েছে। তৃতীয় পদ্ধতি অর্থাৎ লম্বালম্বি ভাবে খননের যে প্রক্রিয়া সেটাও শুরু করা হবে শীঘ্রই বলে জানা গিয়েছে। যদিও সে ক্ষেত্রেও ঝুঁকির পরিমাণ যথেষ্টই বলে জানা গিয়েছে ।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে , ওই রকম একটা ভূকম্পন প্রবণ এলাকায় এরকম একটা লম্বা টানেল করার প্রয়োজনীয়তা কী? এই সুবিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার আগে কি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছিল? ১৯৯১ এ উত্তরকাশীর ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরও কি সরকারের টনক নড়েনি? কার অসাবধানতার খেসারত দিচ্ছে ৪১ টি প্রাণ ?

আরও পড়ুন- ‘বাংলাদেশে প্রচুর ভারত বি.দ্বেষী আছে’! মন্তব্যের পর নিজের দেশে ব.য়কটের মুখে চঞ্চল চৌধুরী