চিনে নি.উমোনিয়ার বা.ড়বাড়ন্ত, রাজ্যগুলিকে স.তর্ক থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের

0
3

করোনা মহামারির আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। এরই মধ্যে চিনে শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের হু হু করে বেড়ে চলার ঘটনা ঘুম উড়িয়েছে চিকিৎসক মহলের। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, এর পরিণতি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতো হবে না তো? কারণ কোভিডের উৎসস্থল তো চিনই। চিন থেকেই সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে।

এদিকে চিনে শিশুদের মধ্যে হু হু করে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। নতুন এক রহস্য়জনক রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে সেই দেশে। শিশুরাই মূল আক্রান্ত হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অজানা নিউমোনিয়ায়। অনেকেরই প্রশ্ন এর প্রভাব ভারতেও পড়বে না তো? এবার এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আপাতত অজানা নিউমোনিয়ায় ভারতে ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা কেমন, আচমকা রোগীদের ভিড় সামলাতে হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। রাজ্যে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে উপযুক্ত সংখ্যায় শয্যা, ওষুধপত্র, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা, অক্সিজেন, অ্যান্টিবায়োটিক, ভেন্টিলেটর, স্বাস্থ্যপরীক্ষার সরঞ্জাম ইত্যাদি প্রস্তুত রাখতে হবে। যাতে যে কোনও রকম জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়।

বিশেষত শিশুদের অসুস্থতার উপর বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের চিঠিতে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো জ্বর, সর্দি-কাশির উপসর্গের হিসাব সরকারি পোর্টালে নিয়মিত আপলোড করতে হবে। গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে সেই রোগীর কফ, থুতুর নমুনা গবেষণাগারে পাঠাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। কেন্দ্রের এই পরামর্শগুলি মানলে আগামী দিনে চিনের নিউমোনিয়ার মতো যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

গত কয়েক দিন ধরে চিনের হাসপাতালগুলিতে নিউমোনিয়া রোগীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। প্রায় সকলেই স্কুলপড়ুয়া। এই নিউমোনিয়ায় কাশির উপসর্গ নেই বললেই চলে। আছে শুধু প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের প্রদাহ এবং শরীরে ব্যথা। বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশের শিশু হাসপাতালগুলি এই ধরনের রোগীতে ছেয়ে গিয়েছে। অনেক স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করা হয়েছে।