বিশেষভাবে সক্ষম ভাই এবং দিদিমাকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন। এখানেই শেষ নয়, জোড়া মৃতদেহ লোপাট করতে অ্যাসিড ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার (Rajpur Sonarpur municipality) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পণ্ডিতপাড়ায় এক জরাজীর্ণ বাড়ির সেপ.টিক ট্যাঙ্ক (Septic tank) থেকে দুই কঙ্কাল উদ্ধারের পরই একে একে উন্মোচিত হচ্ছে রহস্য। বাড়িটি পান্নালাল দাসের নামে এক ৮০ বছরের বৃদ্ধের। স্ত্রী গঙ্গারানি (৬৫) ও বিশেষভাবে সক্ষম নাতি মহাদেব দাসকে (২৫) নিয়ে থাকতেন তিনি। ছয়মাস আগে সেই সংসারে এসে উপস্থিত হন প্রিয়াঙ্কা দাস ও শান্তনু দাস (Priyanka Das and Shantanu Das)। সম্পর্কে তাঁরা পান্নালালের নাতনি এবং নাতজামাই। দাদুর কাছ থেকে সম্পত্তির অধিকার চাইলে গঙ্গারানি বাধা দেন। এরপরই জোড়া খুনের প্ল্যানিং করেন প্রিয়াঙ্কা ও শান্তনু বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পান্নালালের এক শ্যালিকা নিয়মিত দিদি-জামাইবাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। তবে কয়েক মাস ধরে কিছুতেই গঙ্গারানি ও মহাদেবের দেখা পাচ্ছিলেন না। প্রসঙ্গ উঠলেই প্রিয়াঙ্কা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এরপরই সন্দেহ হওয়ায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে গোটা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজে কিছু পাইনি। কিন্তু ভাঙাচোরা বাড়ির মধ্যে নতুন করে সিমেন্ট বালি দিয়ে মেরামত করা সেপটিক ট্যাংকের (Septic tank) দিকে নজর যায়। এরপরই সেখান থেকে জোড়া কঙ্কাল উদ্ধার হয়। অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা দাস ও শান্তনু দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।