শুভেন্দু পরিবহনমন্ত্রী থাকাকালীনই বিরাট টিকিট কে.লেঙ্কারি! FIR দায়ের

0
2

এক আধ কোটি নয় ৭ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি। শুভেন্দু আধিকারী পরিবহনমন্ত্রী থাকাকালীন বিরাট আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে । ঘটনা নজরে আসার পরেই দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থার (এসবিএসটিসি) এমডি দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। সংস্থার বক্তব্য, প্রাথমিকভাবে ৭ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়লেও এই দুর্নীতি বিরাট।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থায় টিকিট বিক্রিতে জালিয়াতি হয়েছে। সংস্থার আইডি এবং পাসওয়ার্ডকে কাজে লাগিয়ে এই দুর্নীতি হয় । দুর্গাপুরের নিউ ইউরেকা ট্রাভেলস এই বরাত পায় ।এরপর ২০১৪ সালে ওয়েবেলের সঙ্গে ইনট্রিগেটেড টিকিট সিস্টেম চালু করা হয়। এই প্ল্যাটফর্মে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
এসবিএসটিসির এমডি ময়ুরী বাসু জানাচ্ছেন, এরপর বরাত পায় দুর্গাপুরের ওই নিউ ইউরেকা ট্রাভেলস।এই সেন্টার থেকে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, কলকাতা, আসানসোল সহ বিভিন্ন জায়গার টিকিট বিক্রি করে অভিযুক্ত। টানা ২০২০ সাল পর্যন্ত সংস্থার ইউসার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করে ৭ কোটি ১৯ লক্ষ ১০হাজার টাকা তুলে নেএয়া হয়।এই টাকা কিন্তু জমা পড়েনি সংস্থার ঘরে।২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই টাকা তোলা হয় । এই সময় পর্যন্ত পরিববহন মন্ত্রী ছিলেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিপুল পরিমাণ তছরূপ তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রীর গোচরে আনা হয়েছিল।তিনি নাকি সব জেনেশুনেও নির্দিষ্ট কোনও স্বার্থে চেপে গিয়েছিলেন। এই প্রিপেড পদ্ধতিতে ১ লক্ষ টাকা জমা করেই ১ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি করা যায়। বরাত পাওয়া সংস্থা অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করেও টাকা জমা দেয়নি।
আভ্যন্তরীণ তদন্তের পর আর্থিক গরমিল দেখা দিলে হিসাব চাওয়া হয়। কিন্তু এজেন্সি তা উপেক্ষা করে। এরপরই সংস্থার এমডি এফআইআর করেন।

এই দুর্নীতির শুরু বর্তমান বিরোধী দলনেতা যখন পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন সেই সময়। নিগমের তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন দীপ্তাংশু চৌধুরী। দুজনেই পিঠ বাঁচাতে বিজেপিতে চলে যান।বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান বিরোধী দলনেতা পরিবহন মন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতি হয়েছে। যোগসাজোশ খতিয়ে দেখতে এফআইআর করা হয়েছে।