পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন? মরুরাজ্যে শুরু ভোট গ্রহণ

0
1

রাজস্থানের (Rajasthan Assembly Election) মসনদে বসবে কে, ঠিক হবে আজ। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে মরুরাজ্যে ভোট গ্রহণ পর্ব, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এক দফায় গোটা রাজ্যে নির্বাচন (Election)। নিয়ম বদলাবে নাকি প্রথা? পরিবর্তন বনাম প্রত্যাবর্তনের লড়াই। রাজস্থান বিধানসভার (Rajasthan Assembly) ২০০ টি আসনের মধ্যে এবার ১৯৯ টি আসনে ভোট আজ। কংগ্রেস প্রার্থী গুরমিত সিং কোনারের মৃত্যুর পর করণপুর কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আজ রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ১,৮৬৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৫ কোটি ২৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ১০৫ জন ভোটার।

রাজস্থানের মসনদে বসার লড়াই মূলত কংগ্রেস বনাম বিজেপির। ২০১৮ সালের রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে, কংগ্রেস ১০০ টি আসন নিয়ে জয়লাভ করেছিল, যেখানে বিজেপি জেতে ৭৩ টি আসনে ৷ তবে, ৩৮ টি বিধানসভা কেন্দ্র জয়ের ব্যবধান ৫ হাজারেরও কম ছিল, যা এবারের নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজস্থানের ২০০টি আসনের মধ্যে ২৫টি তফসিলি জাতি ৩৪ টি তপশিলি উপজাতি এবং ১৪১ টি সাধারণ বিভাগের জন্য সংরক্ষিত। আর এই ৫৯ টি আসনই এবারের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বা বিরোধী বিজেপি (BJP)-কেউই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে পারছে না। আর তার প্রধান কারণ হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এদিকে কংগ্রেসে ভাগাভাগি অশোক গেহলট আর শচীন পাইলটের (Sachin Pilot) শিবিরে। আর বিজেপিতে বসুন্ধরা রাজে আর তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। কংগ্রেসের দ্বন্দ্বের মধ্যে জাত-পাতের বিভেদ তুলে ঘোলাজলে মাছ ধরতে চাইছে বিজেপি। শেষদিনের প্রচারে এই নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কংগ্রেসের নেতা প্রয়াত রাজেশ পাইলটের প্রতি অবিচারের ও তাঁর ছেলে শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot) কোণঠাসা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মোদি। শচীনকে গুর্জরদের প্রতিনিধি বলে সহানুভূতি টানার চেষ্টা করেছেন।এর জবাব দিয়েছেন অশোক গেহলট। বলেন, ’’রাজেশ পাইলটের নাম করে গুর্জরদের উস্কানি দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সরকারের আমলে ২০০৮ সালে গুর্জরদের উপরে ২২ বার গুলি চলেছে। ৭২ জন গুর্জর প্রাণ হারিয়েছেন।’’ মোদিকে আক্রমণ করেন শচীনও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কথার সঙ্গে বাস্তব তথ্যের কোনও মিল নেই।”এদিকে ভোটের মুখে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেরবার বিজেপি। মরুরাজ্যে এখন কোণঠাসা বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje)। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে প্রচার করেনি গেরুয়া শিবির। এতে প্রবল চটেছেন বসুন্ধরা।তবে শুধু ইউনুস নন, বসুন্ধরা অনুগামী ডজন দুয়েক নেতাকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। অনেকেই দাঁড়িয়েছেন নির্দল হিসেবে। এনারাই এখন মাথা ব্যথার কারণ পদ্ম-শিবিরের।