কলকাতায় ফের ‘রেফার সিনড্রোম’। ৬২ বছরের প্রৌঢ়াকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে হন্যে হয়ে ঘুরতে হল পরিবারকে। হৃদরোগে আক্রান্ত শবরী চক্রবর্তীকে (Shabari Chakraborty) কোথায় ভর্তি করাবেন তার দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না মেয়ে। যে হাসপাতালেই গেলেন ভবানীপুরের বাসিন্দাকে সেখান থেকেই অন্যত্র রেফার করে দেওয়ার ‘খেলা’ চলল। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে চরম ভোগান্তি ভবানীপুরের পরিবারের। কলকাতা ও হাওড়ার মোট ৫ সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ ফের এম আর বাঙ্গুরের ( Medicine word of MR Bangur Hospital) মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হল কার্ডিওলজি পেশেন্টকে (Cardiology Patient)।
শুরুটা হয়েছিল এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল দিয়েই। তারপর সেখান থেকে সারারাত শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে ছুটে চললেন পরিবারের লোকেরা। কখনও SSKM তো সেখান থেকে এন আর এস, হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতাল। সেখান থেকে রেফার করা হল মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু সেখানে বেড নেই তাই ঠাঁই হল না। অগত্যা আবার বাঙ্গুরেই শবরী চক্রবর্তী। ভোররাতে ভর্তি করা হল পেশেন্টকে। তাঁর অবস্থা সংকটজনক, বলছেন চিকিৎসকেরা। হতাশ রোগীর কন্যা নিস্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন, কারণ ঠিক কার দিকে আঙুল তুলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সাবধান করা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দফতরের এই বেহাল দশা কিছুতেই যেন কাটছে না। শুক্রবারে রাত ৯ টা থেকে শনিবার সকাল ৫ টা পর্যন্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ‘রেফার সিনড্রোম’ আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল।