চিনা হস্তক্ষেপের বিরোধিতা, রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ নেপালে

0
10

২৪০ বছরের পুরানো রাজতন্ত্র মুছে দিয়ে ২০০৮ সালে ‘গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নেপালে। তবে ১৫ বছর কাটতে না কাটতেই ‘গণতন্ত্রে’ অতিষ্ঠ নেপালের জনগণ। ‘গণতন্ত্র’ মুছে ফেলে ফের রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক দেশে। এই দাবিতেই সরব হয়ে উঠলেন নেপালের সাধারণ মানুষ। মনে করা হচ্ছে, নেপালের সাধারণ মানুষের এভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার মূল কারণ দেশের সার্বভৌমত্বে চিনের দখলদারি। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এই অশান্তির মূল কারণ চিন। কারণ চিনা হস্তক্ষেপের জেরে এই দীর্ঘ ১৫ বছরে কোনও সরকারকে স্থিতিশীল হতে দেয়নি জিনপিং প্রশাসন। সরকারের স্বাভাবিক কাজে সর্বত্র বাধা সৃষ্টি করে গিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডুতে (Kathmandu) রাজতন্ত্রের (pro monarchy) সমর্থনে মিছিল বের করেন হাজার হাজার সমর্থক। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, দেশে গণতন্ত্র তুলে দিয়ে রাজতন্ত্র ও পুরনো হিন্দু রাষ্ট্রের মর্যাদা ফেরানো হোক। জাতীয় পতাকা হাতে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রের সমর্থনে স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। তাঁদের আটকাতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান (water cannons) ও টিয়ার গ্যাস (teargas) ব্যবহার করতে দেখা যায় পুলিশকে। এই ঘটনায় দুই তরফেই আহত হয়েছেন একাধিক মানুষ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক ভারতীয় গোয়েন্দা প্রধান বলেন, “নেপালে ক্রমাগত চিনা হস্তক্ষেপের কারণে এই অস্থিরতা। লাগাতার হস্তক্ষেপে কোনও সরকারকে স্থিতিশীলভাবে শাসনকার্য চালাতে দেয়নি চিন। নেপালের জনগণ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ। চারিদিক থেকে অন্যান্য দেশের সীমান্ত ঘেরা নেপাল অর্থনৈতিকভাবেও অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল।” ওই আধিকারিক আরও বলেন, “সবচেয়ে বড় সমস্যা রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির কারণে নেপালবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এখন তারা চিনে যেতে বাধ্য হচ্ছেন যা তাদের সংস্কৃতি নয়। বিমানবন্দর ও জাতীয় সড়কগুলো চিনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ চায় নেপাল আর চিনা নিয়ন্ত্রণাধীন না থেকে তাদের রাজার অধীনে চলুক। তারা চায় ফেলে আসা হিন্দু রাষ্ট্র, চিনের কোনও উপনিবেশীক রাষ্ট্র নয়।”