জমে উঠেছে রাজ্য সরকারের যাত্রা উৎসব। রবীন্দ্র সদন, নন্দন প্রাঙ্গণে। হাসি মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন যাত্রার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তাঁদের সঙ্গে আলাপ জমাচ্ছেন যাত্রাপ্রেমীরা। বাম আমলে কল্পনা করা যেত না এই দৃশ্য, এই পরিবেশ।

বাংলার জনপ্রিয় লোকনাট্যের এই ধারাটি একটা সময় মুখ থুবড়ে পড়েছিল। বিশেষত ২০১১ সালের আগে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন বহু মানুষ। তাঁরা পড়েছিলেন মহা সমস্যায়। কমে গিয়েছিল শো, অপেরার সংখ্যা। সমানুভূতি নিয়ে এই শিল্পমাধ্যমের পাশে দাঁড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে রাজ্যের মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমির সভাপতি অরূপ বিশ্বাস নবজাগরণ ঘটান এই শিল্পের। যাত্রা উৎসবে নতুন প্রাণসঞ্চার করেন। শিল্পীদের জন্য চালু হয় শান্তিগোপাল তপনকুমার পুরস্কার। এই পুরস্কার প্রতি বছর উৎসবে প্রদান করা হয়। দুঃস্থ শিল্পীদেরও সহযোগিতা করা হয় নানাভাবে। আয়োজন করা হয় কর্মশালা। তুলে আনা হয় নতুন শিল্পীদের। বর্তমানে বেড়েছে শো এবং যাত্রার অপেরার সংখ্যা।

গত কয়েক বছর রাজ্য সরকারের যাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছিল বারাসত কাছারি ময়দান এবং বাগবাজার ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রামঞ্চে। এবারও আয়োজন করা হয়েছে এই দুটি জায়গায়। নতুন সংযোজন রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে ও একতারা মুক্তমঞ্চ। শুক্রবার এই প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপচে পড়েছিল ভিড়।
শনিবার একতারা মুক্তমঞ্চে আয়োজিত হয়েছে আলোচনাসভা। দর্শক শ্রোতার উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো। ‘৫০০ বছর পেরিয়ে বাংলার জয়-যাত্রা’ শীর্ষক প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন বহু মানুষ। রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চস্থ হয়েছে বিশ্বভারতী অপেরার পালা ‘রাধার চোখে জ্বলছে আগুন’। মিতালী চক্রবর্তী, শিলাজিৎ-এর অভিনয় দেখার জন্য উপচে পড়েছিল ভিড়। রবিবার রবীন্দ্র সদনে মঞ্চস্থ হবে নিউ দেবাঞ্জলি অপেরার পালা ‘ফুলেশ্বরীর ফুলশয্যা’। শহুরে দর্শকরা যাত্রা বিমুখ, আরও একবার ভুল প্রমাণিত হল।
আরও পড়ুন- নিকাশি জল নিয়ে এবার অন্য ভাবনা পুরসভার! ধোয়া হবে রাস্তা, পরিচর্যা গাছেরও


































































































































