শেষ পর্যায়টা যেন আর কাটতেই চাইছে না। বার বার বাধা পাচ্ছে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Tunnel) আটকতে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ। যে যন্ত্রের মাধ্যমে সুড়ঙ্গ কেটে এগোনো হচ্ছিল, সেটা ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে। তাই এ বার উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে অত্যাধুনিক যন্ত্রের বদলে শাবল, গাঁইতি, কোদাল হাতে খনন শুরু করতে পারেন উদ্ধারকারীরা। এদিকে, শনিবার সকালে ফের ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী (Pushkar Singh Dhami)। তিনি জানান, আটকে পড়া শ্রমিকরা সবাই ভালো আছে।
আমেরিকায় তৈরি মূল যন্ত্রই টানেলের ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে এগোচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতে সুড়ঙ্গের (Tunnel) ভিতর বাধা পেয়ে সেটি ভেঙে যায়। ওই যন্ত্রকে আর কোনও ভাবেই মেরামত করা যাবে না। এমনটাই মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান আর্নল্ড ডিক্সের। এবার অন্য একটি যন্ত্র এনে টানেলের উপর দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই দিক থেকে খোঁড়ার কাজ শুরু হবে।
এদিন সকালে টানেলের গিয়ে কাজ খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। এরপরে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, “শ্রমিকরা সবাই ভালো আছেন। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। শ্রমিকরা জল-খাবার পাচ্ছেন। হায়দরাবাদ থেকে খননযন্ত আনা হচ্ছে। একটি প্লাজমা কাটারও অর্ডার করা হয়েছে।“ ধামীর কথায়, তাঁদের পুরো নজর রয়েছে শ্রমিকদের উদ্ধারের দিকে। রবিবারের মধ্যে মেশিনের ভাঙা অংশ অপসারণ করা হবে। ভার্টিক্যাল ড্রিলিং কাজ করা হচ্ছে বলে জানান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে আমেরিকান যে যন্ত্রটি ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা একটি ধাতব অংশে ধাক্কা খায়। আটকে যাওয়ার পরে সেটি ভেঙে চৌচির যায়। শনিবার সকালে সুড়ঙ্গ থেকে সেটিকে বাইরে আনা হয়েছে। ৫৭ মিটার ধসের বাধা অধিকাংশই সরিয়ে ফেলেছে অগার মেশিন। বাকি আর মাত্র কয়েক মিটার। সেই ধস সরাতে পারলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে। কিন্তু সেই কয়েক মিটার খুঁড়তে গিয়েই বার বার বাধা পাচ্ছে অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। উদ্ধারে এ বার শাবল, গাঁইতি নিয়ে এগোনের চেষ্টা করতে পারেন উদ্ধারকারীরা।