কবে শেষ হবে উদ্ধারকাজ? উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আ.টকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ছে উৎ.কণ্ঠা

0
3

বৃহস্পতিবার উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গে (Tunnel) আটকে পড়া শ্রমিকদের (Workers) উদ্ধার (Rescue) করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বারবার চেষ্টা করেও মিলছে না সমাধানসূত্র। তবে সময় যত গড়াচ্ছে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। ১৩ দিন কেটে গেলেও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে কবে উদ্ধারকারী দল শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পারবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে আবারও বাধার মুখে পড়তে হয় উদ্ধারকারীদের। আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে কয়েক মিটার দূরত্বেই থমকে যায় উদ্ধারকাজ। সূত্রের খবর, যে যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মাটি কাটা হচ্ছিল তাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। আর সেকারণেই কাজ থামিয়ে দিতে বাধ্য হন উদ্ধারকারীরা। পরে যন্ত্রের মেরামত করে শুক্রবার ভোর থেকে ফের শ্রমিকদের বাইরে বের করে আনতে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে, বুধবার রাতে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে খুঁড়তে আচমকা সামনে চলে আসে লোহার রড। ফলে উদ্ধারকাজ বাধা পায়। রড কেটে রাস্তা ফাঁকা করতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়াও, এক বার টানা সুড়ঙ্গ খুঁড়তে খুঁড়তে যন্ত্র অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছিল। সেকারণেও বন্ধ রাখা হয় উদ্ধারকাজ। ফলে তা ঠান্ডা করার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগে। বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, অবশেষে লোহার রডটি কেটে সরানো গিয়েছে। ফলে দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী ছিলেন সকলে। কিন্তু তার পরে বৃহস্পতিবার রাতে ফের প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় উদ্ধারকারীদের। ফলে বৃহস্পতিবারও শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি। এখনও কয়েক মিটার খোঁড়া বাকি। এদিকে শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের দূরত্ব কমার পাশাপাশি বার বার বাধার মুখেও পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। বর্তমানে উদ্ধারকারী এবং শ্রমিকদের মধ্যে মাত্র কয়েক মিটারের দূরত্ব থাকলেও তাঁদের কখন নিরাপদে সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনা যাবে তা বিষয়েও নিশ্চিত নন সরকারি আধিকারিকরা।

এদিকে বুধবার রাত থেকেই সুড়ঙ্গের বাইরে অপেক্ষা করছে ৪১টি অ্যাম্বুল্যান্স। সুড়ঙ্গ থেকে বার করার পর প্রয়োজন হলে শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলেও অস্থায়ী স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে তৈরি আছে ৪১টি বেড। যে কোনও রকম জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত উদ্ধারকারীরা। কোনও শ্রমিক গুরুতর আহত হলে তাঁদের জন্য বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। সুড়ঙ্গটি সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ। ভাঙা সুড়ঙ্গের ভিতরেই প্রায় ৬০০ মিটার ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে পড়েন সুড়ঙ্গে কর্মরত ৪১ জন শ্রমিকেরা।