যে আবেদন নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেই একই দাবি নিয়ে তাঁরা কোনওমতেই আন্দোলন করতে পারেন না। শুক্রবার একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) চেয়ারম্যান (Chairman) সিদ্ধার্থ মজুমদার (Siddhartha Mjumder)। ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) কাছেই বিক্ষোভ প্রদর্শন (Protest) বসে চাকরি প্রার্থীদের। আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকার তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা অনশন জারি রাখবেন। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন একেবারেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার।
উল্লেখ্য, বর্ধিত আসনে নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ। প্রার্থীদের অনেকেরই চাকরির বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাছে বিকল্প কোনও উপায় নেই বলেও দাবি করছেন তাঁরা। কিন্তু, এসএসসি-র চেয়ারম্যানের দাবি, আসন বাড়ানোর বিষয়টি কমিশনের হাতে নেই। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে তবেই কাজ করতে পারবেন তাঁরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট যে আসন রয়েছে, সেটা মেনেই কাউন্সেলিং চলছে। আদালতে এই প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই আসন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন হাই কোর্টে। এরপর আদালত যা বলবে, সেই মতো কাজ হবে। আমাদের এবং সরকারের হাতে এখন এই বিষয়টি নেই।
এদিকে শুক্রবার সকালেই বেশ কয়েকজন অনশনরত চাকরি প্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বুধবার থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তারপর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় অনশন। আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সরকারের তরফ থেকে সাড়া না মেলা পর্যন্ত অনশন জারি রাখবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আপডেটেড ভ্যাকেন্সি বা বর্ধিত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবি নিয়ে ৫২৭ দিন ধরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। তবে কোনও সুরাহা না হওয়ায় এবার বিক্ষোভের স্থান পরিবর্তন করেছেন। তবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেও বিষয়টি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের উপরই ছাড়লেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান।