সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও! শর্তসাপেক্ষে ধর্মতলায় বিজেপিকে সভার অনুমতি হাই কোর্টের

0
2

অবশেষে বিজেপিকে(BJP) ধর্মতলায় (Dharmatala) সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) নির্দেশেই সিলমোহর দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। তবে এদিন আদালত সাফ জানিয়েছে, কর্মসূচি করতে হলে গেরুয়া শিবিরকে কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত কোনও শর্ত যে সভার আয়োজকদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না তাও কলকাতা পুলিশকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য, এমনটা আশঙ্কা করে শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করল বিজেপি। ক্যাভিয়েট দাখিলের অর্থ, এ বার রাজ্য শীর্ষ আদালতে গেলেও বিজেপির বক্তব্য না শুনে একতরফা ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না সুপ্রিম কোর্ট। তবে এদিন সভার অনুমতি প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিজেপির সভা মানেই বিশৃঙ্খলা। যতবারই কলকাতায় বিজেপি সভা করেছে ততবারই কোনও না কোনও বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে এসেছে। তবে হাই কোর্টের রায় নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

তবে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করলে রাস্তা স্তব্ধ হয়ে যাবে বলে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে এদিন পাল্টা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয় রাজ্যে এমন ঘটনা নতুন নয়। রাজ্যের প্রস্তাব ছিল, রানি রাসমণি রোড বা ওয়াই চ্যানেলে সভা করুক বিজেপি। তবে সেই প্রস্তাব খারিজ করে এদিন আদালত নির্দেশ দিল ধর্মতলাতেই সভা হবে বিজেপির। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির সভা হওয়ার কথা। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও। এদিকে এই সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে চরম সংশয় তৈরি হয়েছিল। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেন। বিধিনিষেধ আরোপ করে বিজেপিকে জানানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়। শুক্রবার সেই মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন শুনানিপর্বে রাজ্যের অভিযোগ, ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে যেখানে এই সভা হওয়ার কথা সেটা শহরের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে সভা হলে শহর স্তব্ধ হয়ে যাবে। এরপরই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে এটা নতুন কিছু নয়। কেউ সাধারণ মানুষ নিয়ে ভাবেন না। সরকারি কর্মচারি, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সবাই রাস্তা আটকে মিছিল করে। পুলিশ অনুমতি দিয়ে দেয়। আমি ২ বছরের উপর এখানে আছি, আমি দেখেছি এটা এখানে খুব সাধারণ ব্যাপার।

তবে এদিন রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা ছাড়া আর কোনও সভা হয় না। এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন? ২১ শে জুলাই তারিখের বিশেষত্ব কী? ২১ জুলাই কী হয়, তা ব্যাখ্যা করেন রাজ্যের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিধিনিষেধ আরোপ করে অনুমতি দিন। এরপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা অযথা এই অনুষ্ঠানকে জনপ্রিয় করে দিচ্ছেন। আগে যদি ১০ হাজার মানুষ আসত, এখন তাহলে ১ লাখ মানুষ আসবে।