আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায় (Adani-Hindenburg case) নয়া মোড়। শুনানি শেষে এবার রায়দান সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে আদানি গ্রুপ অফ কোম্পানির বিরুদ্ধে করা প্রতারণার অভিযোগ পরীক্ষা করার জন্য এক গুচ্ছ আবেদনের শুনানি শেষ হল। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রায়টি সংরক্ষিত করেছে। এদিন,শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে যে, সেবি আদানির আচরণ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সংবাদপত্রের প্রতিবেদনগুলি অনুসরণ করবে এটা আশা করা যায় না। আবেদনকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ বলেন সেবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আবেদনকারীর তরফে প্রশান্ত ভূষণ জানান যে ১৩ থেকে ১৪ টি এন্ট্রি আদানির সাথে যুক্ত কিন্তু তারা এটি দেখতে পারে না কারণ ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট নির্দেশিকা সংশোধন করা হয়েছিল। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, “মিস্টার ভূষণ, আমি মনে করি না যে আপনি কোনও আর্থিক নিয়ন্ত্রককে সংবাদপত্রে ছাপা কিছু তথ্য নিয়ে অভিযুক্ত করবেন .. এটি সেবিকে অসম্মানিত করে… .. সেবি কি এখন সাংবাদিকদের অনুসরণ করবে?” ভূষণ উত্তর দেন, “সাংবাদিকরা যদি এই নথিগুলি পাচ্ছেন, তাহলে সেবি কীভাবে তা পেতে পারে না? এত বছর ধরে কীভাবে তারা এই নথিগুলি পায়নি ? ওসিসিআরপি, দ্য গার্ডিয়ান ইত্যাদি দেখিয়েছে যে বেশিরভাগ আদানি স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করা এই অফশোর কোম্পানিগুলি বিনোদ আদানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।” আদালত উল্লেখ করে যে, সেবি কেবলমাত্র এই জাতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে না। প্রধান বিচারপতি এরপর বলেন, ন্যায়বিচারের নীতি মেনে এটা কোনও প্রমাণযোগ্য মূল্য হতে পারে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এরপরই তিনি রায় সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেন।