একের পর এক ধা.ক্কা! উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে কেন বে.গ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের?

0
1

চলছে শেষ পর্যায়ের উদ্ধারকাজ (Rescue Operation)। আর মাত্র ২-৩ মিটার মাটির খনন বাকি। তারপরই পৌঁছনো যাবে উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গে (Tunnel) আটকে পড়া ৪১ শ্রমিকদের (Workers) কাছে। সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বেলা গড়ালেও এখনও অবধি সুড়ঙ্গ থেকে বের করা যায়নি কোনও শ্রমিককে। উদ্ধার করতে আরও বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু উদ্ধারকাজে কেন এত সময় লাগছে? সূত্রের খবর, বুধবার রাতেই সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করেন ২১ জন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য। মনে করা হয়েছিল, বুধবার রাতেই মিলবে সুখবর। কিন্তু রাতে বেশি দূর এগোনো না যাওয়ার কারণেই সুড়ঙ্গ থেকে  বেরিয়ে আসেন শ্রমিকরা। ১২ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে গিয়ে ১০ মিটার বাকি থাকতেই থেমে যায় ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার কাজ। তবে ভাঙা সুড়ঙ্গের অন্ধকারেই নিজেদের মানসিক অবস্থা ঠিক রাখতে চোর-পুলিশ এবং তাস খেলে সময় কাটাচ্ছেন ৪১ জন শ্রমিক।

এরপর উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা হবে। কিন্তু তা-ও সম্ভব হয়নি। এখনও চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। জানা যাচ্ছে, যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তার ভিতরে পাইপ ঢোকানোর কাজ চলছে। আর সেই পাইপের ভিতর দিয়েই উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গের গভীরে প্রবেশ করছেন। কিন্তু সেই পাইপ ঢোকাতেই বার বার বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। বুধবার রাতে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে খুঁড়তে আচমকা সামনে চলে আসে লোহার রড। খননযন্ত্র দিয়ে তা সরানো যায়নি। ফলে উদ্ধারকাজ বাধা পায়। রড কেটে রাস্তা ফাঁকা করতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়।

এছাড়া টানা খুঁড়তে খুঁড়তে যন্ত্র অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছিল বলে খবর। ফলে তা ঠান্ডা করার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগে অবশেষে লোহার রডটি কেটে সরানো গিয়েছে। ফলে এ বার দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক খননযন্ত্র দিয়ে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে। অন্যদিকে, সুড়ঙ্গের বাইরে উদ্ধারের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুধবার রাত থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। সুড়ঙ্গ থেকে বার করার পর প্রয়োজন হলে শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলেও অস্থায়ী স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে তৈরি আছে ৪১টি বেড।