ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন সহ একাধিক ইস্যুতে মহুয়া মৈত্রকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জেরে এবার বড় পদক্ষেপ সংসদের সচিবালয়ের। সাংসদ আইডিতে সাংসদ ছাড়া অন্য কেউ লগ ইন করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করে সকল সাংসদকে এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সচিবালয়। কোনও সাংসদের আপ্ত সহায়ক বা অথরাইজড পার্সন সাংসদের হয়ে সংসদের সাইটে লগ ইন করতেন। সচিবালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সেটাও করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয়ের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ১. লোকসভা পোর্টাল শুধুমাত্র সাংসদরাই ব্যবহার করতে পারবেন। ২. লোকসভা পোর্টালে সাংসদদের আইডি এবং পাসওয়ার্ড কেউকে দিতে পারবেন না সাংসদরা। ৩. এই পোর্টাল সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে সাংসদদের। ৪. প্রশ্নোত্তর পর্ব পর্যন্ত সাংসদদের প্রশ্নের উত্তর শেয়ার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের তরফে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল, এবার থেকে কোনও সাংসদের আপ্ত সহায়ক বা অথরাইজড পার্সন সাংসদের হয়ে সংসদের সাইটে আপাতত লগ ইন করতে পারবেন না৷ আগামী শীতকালীন অধিবেশনের জন্য প্রশ্নপত্র এমনকি সাংসদের টিএ বিল বা সংসদীয় কোনও নোটিসও অন লাইনে সাবমিট করতে পারবেন না। লগ ইন করতে না পেরে বেশ কিছু সাংসদের আপ্তসহায়করা লোকসভার সচিবালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করেন এবং তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, মহুয়া মৈত্রর ঘটনার পরে সতর্ক সচিবালয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে এবিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা দিল সংসদ সচিবালয়।
উল্লেখ্য, সংসদীয় সচিবালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সংসদ সদস্যরা৷ এতদিন তাঁরা নিজেদের আপ্ত সহায়ক বা অথরাইজড পার্সনদের মাধ্যমে সংসদের সাইটে প্রয়োজনীয় লগ ইন করতেন। বিভিন্ন নোটিসও জমা দিতে পারতেন৷ আপাতত এই পদ্ধতি রদ করা হয়েছে৷ এর ফলে সাংসদদের হার্ড কপি বিল, নোটিস জমা করতে হবে, যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের৷ এমনকি এতদিন ধরে চলে আসা পদ্ধতির হঠাৎ করে বদল হওয়ায় সাংসদরাও বুঝতে পারছেন না হাতে থাকা এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য কিভাবে তারা প্রশ্ন সাবমিট করবেন।