রাজ্য সরকারি অফিসে চাকরি দেওয়ার নাম করে জালিয়াতি। ৩৭ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। ধৃত দুই অভিযুক্তের নাম সায়ন্তন দাস ও প্রকাশ বসু।
উত্তর কলকাতার বাসিন্দা তরুণী দুই বোন চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মাঝে দুই বোন বাবার বন্ধু প্রকাশ বসুর বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যান। প্রকাশ তাঁদের জানায়, তাঁর সঙ্গে নবান্নের ভাল যোগাযোগ রয়েছে।নগরোন্নয়ন দফতরে তিনি দুই বোনেরই চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে চাকরির পরীক্ষাও দিতে হবে না। তবে টাকা দিতে হবে। ৩৭ লাখ টাকা দিতে পারলেই দুই বোনের চাকরি পাকা। ভাল চাকরির কথা ভেবে দুই বোন
প্রকাশ বসুকে খেপে খেপে ৩৭ লক্ষ টাকা দেন। ওই টাকার ভাগ যায় সায়ন্তন দাসের কাছে। যে ভুয়ো নথিপত্র সংগ্রহ করে।
এরপর চাকরিপ্রার্থী দুই তরুণীকে নগরোন্নয়ন দফতরের হলোগ্রাম-সহ নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। ভুয়ো নিয়োগের নথি নিয়ে নবান্নে চাকরিতে যোগ দিতে যান দুই বোন। কিন্তু জানতে পারেন যে, সেগুলি জাল। এরপরই প্রতারণা হয়েছে বুঝে দুই বোন প্রকাশের কাছে টাকা ফেরত চান। প্রকাশ ও সায়ন্তন দুই বোনকে বেশ কয়েকটা চেক দেন। কিন্তু যথারীতি সেগুলি বাউন্স করে। এর পরই তাঁরা জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ প্রকাশ ও সায়ন্তনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে প্রতারণা দমন শাখা। প্রকাশ ও সায়ন্তনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা করে ‘মূলপাণ্ডার’ হদিশ পেতে চায় পুলিশ।