সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছিলেন, ‘১৮ বছর বয়স কী দুঃসহ!’ কৈশোর আর যৌবনের মধ্যস্থতায় থাকা ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে কিশোর মানসিকতায় একাধিক পরিবর্তন দেখা যায়। কিন্তু সে কি এতটাই হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে যে ব্যক্তিগত আক্রোশে পরিচিত আরেক প্রায় সমবয়সী যুবককে ৬০ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে মৃতদেহের সামনে উদ্যম নৃত্য করতে পারে? শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটলো রাজধানীতে। দিল্লির আইনশৃঙ্খলা ফের প্রশ্নের মুখে।


উত্তরপূর্ব দিল্লির ওয়েলকাম কলোনির ঘটনা। মাত্র ৩৫০ টাকা নিয়ে বিবাদ। গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত কিশোর ওই যুবকের কাছে থেকে সাড়ে তিনশো টাকা চেয়েছিল বিরিয়ানি কেনার জন্যে। সেই টাকা না দেওয়ার তাঁর সঙ্গে কিশোরের বাকবিতন্ডা বেধে যায়। ধস্তাধস্তি থেকে হাতাহাতির মধ্যেই ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়। এর পরের ঘটনা আরও সাংঘাতিক। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মৃত যুবকের দেহ টানতে টানতে অভিযুক্ত কিশোর একটি গলির সামনে নিয়ে আসে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক বা দুই নয়, প্রায় ৬০ বার কোপাতে থাকে। কার সব কার্যকলাপ সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এরপর রক্তমাখা মৃতদেহের সামনে পাগলের মতো নাচতে থাকে অভিযুক্ত। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় বাকরুদ্ধ মনস্তত্ত্ববিদরা। এই বয়সে কী ভাবে ওই কিশোর খুন করে উল্লাসে মেতে উঠলো তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত চিকিৎসকরাও। গোটা ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজধানীর নিরাপত্তা। রাষ্ট্র পরিচালনার সদর দফতর যে রাজ্যে সেখানকার দুর্বল আইনশৃঙ্খলা চিন্তায় রাখছে সাধারণ মানুষকেও।







































































































































