জার্মানির ফুটবলে ছন্দপতন চলছেই। ব্যর্থতার দায়ে গত সেপ্টেম্বরে ছাঁটাই হন হানসি ফ্লিক। তাঁর জায়গায় কোচ হয়ে আসেন ইউলিয়ান নাগলসমান। কিন্তু কোচ বদল হলেও পারফরমেন্সের কোনও পরিবর্তন হয়নি। নাগলসমানের অধীন শেষ তিন ম্যাচে জয় পায়নি জার্মানি। শুধুমাত্র তাই নয়, শেষ দুই ম্যাচের দুটিতেই হার। গত রবিবার তুরস্কের কাছে ৩-২ গোলে হারার পর বুধবারও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তারা হেরেছে ২-০ গোলে। জার্মানির হারের ক্ষত আরও বেড়েছে লেরয় সানে লাল কার্ড দেখায়।
জার্মানির এমন দুরবস্থার মধ্যেও সমর্থকদের জন্য স্বস্তির খবর, জার্মানিকে অন্তত বাছাই খেলে ইউরোর টিকিট পেতে হচ্ছে না। আয়োজক দেশ হিসেবে সরাসরি ইউরো খেলার সুযোগ পাবে জার্মানি। নাগলসমান অবশ্য জাতীয় দলে নিজের শুরুটা ভালোভাবেই করেছিলেন। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারায় তাঁর দল। কিন্তু পরের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে জার্মানি ড্র করে ২-২ গোলে। এরপর হারল তুরস্ক ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে।
ভিয়েনায় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিতে পিছিয়ে ছিল জার্মানরা। ‘গেগেনপ্রেসিং’য়ের গডফাদারখ্যাত রালফ রাগনকিকের অস্ট্রিয়ার কৌশলী ফুটবলও খুব বেশি সুযোগ দেয়নি জার্মানদের। আক্রমণাত্মক অস্ট্রিয়াকে ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথম গোল এনে দেন মার্সেল সাবিতজার। আর দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯ মিনিটের জার্মানির জালে দ্বিতীয়বার বল জড়ান ক্রিস্তফ বাউমগার্টনার। এর আগে ৪৯ মিনিটে অবশ্য ১০ জনের দলে পরিণত হয় জার্মানি। অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার ফিলিপ এময়েনেকে ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড দেখেন সানে।
ম্যাচ হারের পর হতাশ নাগলসমান বলেছেন, ‘আমরা স্বাধীনভাবে খেলতে পারিনি। প্রতিটি জায়গায় আমাদের অবিশ্বাস্যরকমভাবে ঠিকমতো কাজ করতে হবে। এই সময় দলের খেলা নিয়ে নাগলসমান আরও বলেছেন, ‘আমরা অনুশীলনে ভালোই খেলছি। কিন্তু মাঠে সেটার ঠিকঠাক রূপান্তর করতে পারছি না। আমাদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে। আমাদের গত কয়েক মাসের দিকে তাকালে সেটা অবশ্য একেবারে অস্বাভাবিক নয়।’ হতাশা প্রকাশ করেছেন জার্মান অধিনায়ক ইলকাই গুন্দোয়ানও।


 
 
 
 

































































































































