রেশন মামলায় (Ration Case)আজ আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি (ED)। অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahman)চালকলে খাদ্যদফতরের সামগ্রী অসাধু উপায়ে পৌঁছে যেত বলে আজ আদালতে জানান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। বাকিবুরের চালকল, গমকলে কত ধান বা গম পাঠানো হয়েছে এবার সেই তথ্য তলব করল ইডি (ED)। চিঠি পাঠানো হল খাদ্য দফতরকে (Food and Supply Department)। বাকিবুরের চালকলে তল্লাশি করে পাওয়া তথ্য খাদ্য দফতরের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের আটা এবং চালকল ‘মেসার্স এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার ডিরেক্টর বাকিবুর নিজেই ছিলেন। পরে ওই সংস্থার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য ইডির হাতে আসে। আজ জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আদালতে পেশ করা হয় বাকিবুরকে। বিচারক আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর রেশন সংক্রান্ত একাধিক তথ্য কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে উঠে আসে। আগেই বাকিবুরের বেশ কয়েকটি রাইস মিল ও ফ্লাওয়ার মিলে তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা একশোর বেশি স্ট্যাম্প ও সিল উদ্ধার করেছেন।এমনকি বাকিপুরের রাইস মিলগুলি রাজ্য সরকারের নথিভূক্ত ছিল বলেও ইডি দাবি করে। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি মনে করছে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির যাবতীয় ‘অ্যাক্সেস’ ছিল এই মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানের হাতে। তাঁর হাতেই সমিতিগুলির আইডি ও পাসওয়ার্ড ছিল। সেই সূত্রে সমিতির যাবতীয় কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতেন বাকিবুর। এবার খাদ্য দফতরের তথ্য খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।