নিয়োগ মামলায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ বুধবার মোট আটজনকে তোলা হয় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে। কোর্টে ঢোকার আগে আত্মবিশ্বাসী দেখাল জীবনকৃষ্ণকে। তিনি বলেন, “একদিন সবাই জামিন পাবেন।”
গত ১০ নভেম্বর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান মিডলম্যান হিসেবে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্ন রায়। আদালতে তাঁর হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল রোহতগি। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি এই দুই মামলাতেই জামিন পেয়েছিলেন প্রসন্ন।এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই কার্যত আত্মবিশ্বাসী দেখায় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রসন্ন রায়ের জামিন প্রসঙ্গে বলেন, “সত্যের জয় হয়েছে।” এরপর পুলিশের গাড়িতে উঠতে-উঠতে তিনি বলেন,”মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে তদন্তের গতি বাড়াতে হবে। দেখবেন সবাই জামিন পাবে।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করল সিবিআই। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এই ৪০ পাতার চার্জশিটে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম রয়েছে। বিধায়কের বড়ঞার বাড়িতে দীর্ঘ ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর ১৭ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ ছাড়াও সুব্রত সামন্ত রায় নামে এক এজেন্টের নামও রয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জালিয়াতি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট সহ ভারতীয় দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনের ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
তল্লাশি চলাকালীন জীবনকৃষ্ণ তাঁর দু’টি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন বলে সিবিআই অভিযোগ করে।জানা গিয়েছে, সেই বিষয়টিও চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। কীভাবে চাকরি বিক্রির চক্র চলত, তাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।